নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। রাজভবনে যখন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন কলকাতা দলের সদর দফতরে সামনে ধরনা দিল বিজেপি। এই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্যের মতো দলের প্রথমসারির নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারণটা কী? ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে হিংসা ছড়িয়েছে রাজ্যে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীকে হামলা করা হচ্ছে, পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চলছে বলে অভিযোগ। গেরুয়াশিবিরের দাবি, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের হামলার দলের ৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। রাজ্যের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যপালের কাছে ফোন করে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও।


আরও পড়ুন: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ, প্রথম কাজ কোভিড মোকাবিলা: Mamata


নন্দীগ্রামে আবার রেয়াত করা হচ্ছে না মহিলাদেরও! ভিডিও টুইট করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রামের কেন্দামারি গ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশ্ন তুলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আসল পরিবর্তন না করে এটাই কি সাধারণ মানুষের পাওনা'? ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের দাবি করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনও। 


এই হিংসার প্রতিবাদেই মমতার শপথের দিনে দেশজুড়ে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন কলকাতার মুরলীধর সেন লেনে দলের সদর দফতরের সামনে মঞ্চ বেঁধে চলল ধরনা। মঞ্চে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপির প্রথমসারির প্রায় সব নেতাকেই। ছিলেন দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও।  জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, যাঁদের 'ঘরছাড়া' হতে হয়েছে, তাঁরাও এসেছিলেন ধরনা মঞ্চে। এমনকী, নেতাদের ভাষণ শুনতে শুনতে একসময়ে ধৈর্য্যে বাঁধ ভাঙে তাঁদের। দাবি তোলেন, 'আমাদের কথা কখন শুনবেন'! কোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।