মৌমিতা চক্রবর্তী: ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের ফাইনাল রাউন্ড। কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সরকার গড়তে কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের টার্গেট কম মার্জিনে হেরে যাওয়া লোকসভা এবং বিধানসভা কেন্দ্রগুলো।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির (BJP) টার্গেট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এবং সদ্য হাতছাড়া হওয়া লোকসভা কেন্দ্র আসানসোল। জানা গিয়েছে, এই দুই কেন্দ্রে বেশি করে জোর দিতে চাইছেন নাড্ডা-শাহরা। কেন এই দুই কেন্দ্রে পরাজয় হল? তা খতিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বুথের শক্তি বাড়াতে ইতিমধ্যে 'প্রবাস' কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। কী এই কর্মসূচি? 


এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারমণ, কিরণ রিজিজু, নরেন্দ্র সিং তোমর, অর্জুন মুণ্ডা এবং ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো দলের দক্ষ সংগঠকদের। তাঁরা কম মার্জিনে হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলোতে মূলত জনসংযোগ করবেন। এরপর সেই রিপোর্ট তাঁরা তুলে দেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার হাতে।  


জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের 'প্রবাস' কর্মসূচিতে রাজ্যের ১৯ টি লোকসভা কেন্দ্রকে বেছে নিয়েছে বিজেপি (BJP)। ২১ জুলাই তৃণমূলের 'শহিদ দিবস'। তার আগে, অর্থাৎ ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই রিপোর্ট পৌঁছে যাবে সোজা জে পি নাড্ডার (JP Nadda) হাতে। দ্বিতীয় পর্যায়ের 'প্রবাস' কর্মসূচি শুরু হবে জুলাই মাসের শেষের দিকে। 


২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়কে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কেন্দ্রে একধাক্কায় ৩৫ শতাংশ ভোট পান বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ। কিন্তু, পরের উপনির্বাচনেই সেই ভোট শেয়ার কমে দাঁড়ায় ২২ শতাংশে। আসানসোলেও বিজেপির গ্রাফ নিম্নগামী। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই বাবুল এখন তৃণমূলে (TMC)। সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। সেই পদ্মবনে ঘাসফুল ফুটিয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। 


এখানেই শেষ নয়, ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামগঞ্জে সংগঠনের ফুঁটোফাঁটা মেরামত করতে, একটা বিশেষ কমিটিও তৈরি করেছে বঙ্গ বিজেপি। যার মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করবেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও সৌমিত্র খাঁ এবং জুয়েল মুর্মু, নরহরি মাহাত, বঞ্কিম ঘোষ, স্বপন মজুমদারের মতো  বিধায়করা। 



অর্থাৎ, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যে সংগঠনকে ফের ঢেলে সাজাতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেজন্য মাঠে নামাতে চাইছেন দলের দক্ষ সংগঠকদের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)