নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘটা করে গতবছর অগাস্টে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নিয়েছিল বিজেপি। দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁকে নিয়ে ছুঁচো গেলার অবস্থা রাজ্য বিজেপির। শোভন ও রাজ্য বিজেপির মধ্যে কার্যত কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃতীয় ব্যক্তি। তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন নেতারা। কিন্তু তাঁরা কি সরাসরি প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন? ইতিউতি উঁকি দিচ্ছে প্রশ্নটা- বিজেপির ডাকে কি শোভন চট্টোপাধ্যায় আদৌ সাড়া দেবেন? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, শোভনবাবুর অভিজ্ঞতাকে পুরভোটে কাজে লাগাতে চাইছেন। সূত্রের খবর, নতুন রাজ্য কমিটিতে শোভনের মতো অভিজ্ঞ মুখকে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তাও চালাচ্ছে দিল্লির নেতৃত্ব। শোভন ও বিজেপির মাঝে এসে পড়ছেন ওই তৃতীয় ব্যক্তিই। তিনিই শোভনকে 'বন্দি' করে ফেলেছেন। 


বিজেপি সূত্রে খবর, ওই তৃতীয় ব্যক্তি রাজ্যসভার সাংসদ হতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, কেন এত দূর বেড়ে খেলবেন তাঁরা? পাশার দান চেলে রেখেছে তৃণমূলও। তৃতীয় ব্যক্তির অফিসার-ইন-চার্জ পদ থেকে ইস্তফাপত্র ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে নেতৃত্বের। দোটানায় বিজেপি শিবির। আপাতত ধীরে চলো নীতিতে চলছে বিজেপি। জেপি নাড্ডার হাত ধরেই শোভন-বৈশাখী যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি। নাড্ডা এখন সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি কি পারবেন শোভনকে ফেরাতে?


গত ২০ জানুয়ারি শোভনকে দিল্লি আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, ব্যস্ত থাকবেন। সেই বৈঠক আর হয়নি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সামনাসামনি বসেই বিষয়টির একটা ফয়সলা করতে চাইছে নেতৃত্ব। কিন্তু নেতারাও বুঝতে পারছেন, শোভনের একার সিদ্ধান্ত সবটা নির্ভর করছে না। এক বিজেপি নেতা মিটিমিটি হেসে বললেন, 'বোঝোই তো সব!' 


আরও পড়ুন- জোটে ঘোঁট? মমতার কথায় ভরসা নেই সূর্য-সুজনের, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে অধীর