নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে বিজেপিকে আসতে সাহায্য করেছে তৃণমূল। এখনও তার ফল ভোগ করছে রাজ্যবাসী। রামের এই দেশে এখন রাবণের তাণ্ডব শুরু করেছে বিজেপি। বুধবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে এক সভা থেকে এভাবেই বিজেপি ও তৃণমূলকে নিশানা করলেন অধীর চৌধুরী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা এদিন বলেন, বিজেপি চায় সমাজে যত সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হবে ততই তাদের লাভ। আর সেটাই হচ্ছে। এরা চাইছে ধর্মের নামে সমাজ ভাঙতে। সম্প্রতি এক পীরের দরগায় গিয়েছিলাম। সেখানে প্রার্থনা করলাম, আমরা মানুষ। আমাদের মানুষ করে রাখুন। দেশে শান্তি বজায় রাখুন। রামের এই দেশে রাবণ তাণ্ডব করছে। এদের থেকে দেশকে বাঁচান।


আরও পড়ুন-'বাসুদেব বাউলের কষ্ট ১০ বছর পর মনে পড়ল TMC-র', কটাক্ষ BJP নেতা Anupam-এর


স্বাধীনতার লড়াইয়ের কথা টেনে এনে অধীর বলেন, ব্রিটিশরা আমাদের দেশ শাসনের জন্য ধর্মের নামে সমাজকে ভেঙেছিল। মুসলিমদের শত্রু হিসেবে দিখিয়েছিল ব্রিটিশরা। কারণ তারা জানত এদেশ শাসন করতে গেল ধর্মের নামে সমাজকে ভাঙতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার লড়াইয়ে দেশের সব ধর্মের মানুষ সামিল হয়েছিলেন। বরকতউল্লাহ-র সঙ্গে ভগত্ সিংও ছিলেন। খান আবদুল গফফরখানের ৯৫ বছরের জীবনের মধ্যে ৪৫ বছর কেটেছে জেলে। বহু কষ্টে পাওয়া সেই স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। কারণ এখন ধর্মের নামে দেশভাগের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আবার এক স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময় এসেছে।


রাজ্য কংগ্রেস প্রধান আরও বলেন, স্বাধীনতার পরেই হিন্দু মুসলমানকে ভুল বুঝিয়ে লড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরএসএসের লোকজন মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল। তাঁর দোষ ছিল, তিনি 'ঈশ্বর আল্লাহ তেরো নাম' স্লোগান দিয়েছিলেন। ব্রিটিশদের পথেই হাঁটছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির চাইছে হিন্দুদের পার্টি হোক বিজেপি। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য যা করতে হয় তা তারা করছে।


আরও পড়ুন-বিতর্কিত মন্তব্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগ; সায়ন্তনের পর অগ্নিমিত্রাকে শো-কজ চিঠি


অধীরবাবু আরও বলেন, একসময় বাংলার সঙ্গে বিজেপির পরিচয় ছিল না। মমতা বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিলেন মমতা। তাঁর দাবি ছিল বিজেপিতেও বহু দেশভক্ত রয়েছে। বিজেপি রাজ্যে পা রেখেছিল। ধীরে ধীরে তারা শিকড় চালিয়েছে। গত ১০ বছরে কংগ্রেস ও বামেদের ওপরে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূল। এর ফল ভালো হবে না, আমরা আগেই তা বলেছিলাম। ধীরে ধীরে বাংলায় ধর্ম নিরপক্ষে শক্তি দুর্বল হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলও সুকৌশলে বিজেপির রাস্তায় হেঁটেছে। কেউ বলেনি মুসলিম ইমামদের ভাতা দিতে হবে। মুসলিমরা গরিব হতে পারে তারা ভিখিরি নয়। রাজ্যে তাদের যে ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে তা যদি ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে।