BJP: পাল্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত `বেসুরো` নেতাদের? দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মোদীর মন্ত্রীর
অস্বস্তি আরও বাড়ল গেরুয়াশিবিরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আর কোনও রাখঢাক রইল না! কলকাতায় বৈঠক করে এবার পাল্টা কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন 'বেসুরো' বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। সূত্রের খবর তেমনই। দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন খোদ মোদী সরকারের মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। অস্বস্তি আরও বাড়ল গেরুয়াশিবিরে।
প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি টিকিটে বনগাঁ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখন তলানিতে পৌঁছেছে। কয়েক দিন আগেই রাজ্য বিজেপি যে যে হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপে ছিলেন, সেই সমস্ত গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান শান্তনু। কেন? Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমার মনে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে আমাদের নিষ্প্রয়োজন। তাই বেরিয়ে এসেছি। আমাদের কোনও মূল্য নেই তাঁদের কাছে। আমি কেন্দ্রের কথা বলিনি। কেন্দ্রের থেকে সাইড হইনি'। বনগাঁ সাংসদ কিন্তু একা নন, দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপি ৫ মতুয়া বিধায়ক।
আরও পড়ুন: 'আমি বাঁচতে চাই!' সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক আর্তি মদন মিত্রের বৌমার
এদিন কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠক হল। হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুর মতো বিজেপির 'বেসুরো' নেতারা। সঙ্গে ৫ মতুয়া বিধায়ক। সূত্রের খবর, এই বৈঠকেই প্রমথনাথ ঠাকুর, শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সামনে রেখে পাল্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের সামনে অবশ্য বিষয়টি খোলসা করতে চাননি শান্তনু ঠাকুর। তবে তাঁর গলায় ক্ষোভের সুর স্পষ্ট, 'উপরের নেতৃত্বকে ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৯০ শতাংশকে বাদ রেখে কীভাবে কমিটি গঠন করা হল? আমরা এর বিরোধিতা করছি। একজন ব্যক্তি গোটা দলকে হাতে রাখছে চাইছেন। সংগঠনের একজন নেতা দলের পক্ষে ক্ষতিকর। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সরিয়ে কমিটিগুলি হস্তগত করছেন। একজনের জন্য দলের ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না'।
আরও পড়ুন: Covid Restriction: বিয়েবাড়িতে কড়াকড়ি শিথিল; রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ
কী প্রতিক্রিয়া বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের? দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'শান্তনু ঠাকুর একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনি যে সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি করুন না, তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে বিক্ষুদ্ধ বলা ঠিক নয়। যে ক'জন বিধায়কের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরাও বিজেপির বিধায়ক। ফ্লোর দাঁড়িয়ে কখনও বিজেপির বিরোধিতা করেননি। আমাদের দলের একটি পদ্ধতি আছে, সকলেই সেই পদ্ধতিতে আসতে হবে। যাঁর যা অভিযোগ আছে, আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে।