অবশেষে নিভেছে বাগরি মার্কেটের আগুন, দাবি দমকল ও পুলিসের
বাগরি মার্কেটের বিশাল ভবনের কী ভবিষ্যত্ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আগুন লাগার পর থেকেই ভবনের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে ফাটল। বুধবার ভবনের ছাদেও চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে। ভবনটি যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় সাড়ে তিন দিন পর নিভল বাগরি মার্কেটের আগুন। বুধবার দুপুরে একযোগে পুলিস ও দমকলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভবনের ভিতরে আর কোথাও আগুন নেই। তবে চলছে ভবন ঠান্ডা করার কাজ।
শনিবার রাত ২.৩০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে বড়বাজারের ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে। সেই থেকে তিন দিন জ্বলেছে ভবনটি। একের পর এক তলে ছড়িয়েছে আগুন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে নাভিশ্বাস উঠেছে দমকলের। শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন দিন পর আগুন নিভেছে বলে দাবি দমকল ও পুলিসের। বুধবার দুপুরে দমকল ও পুলিসের তরফে আলাদা আলাদাভাবে জানানো হয়, বাগরি মার্কেটের আগুন নিভেছে। তবে তখনও ভবনের ভিতরে বহু জায়গায় বেরোতে দেখা গিয়েছে ধোঁয়া।
ওদিকে বাগরি মার্কেটের বিশাল ভবনের কী ভবিষ্যত্ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আগুন লাগার পর থেকেই ভবনের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে ফাটল। বুধবার ভবনের ছাদেও চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে। ভবনটি যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
জলের অভাবে জতুগৃহ বাগরি! এদিকে ছাদেই ছিল ৫০০০ লিটারের ২৪টি ট্যাঙ্ক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাগরি মার্কেটের ভবিষ্যত্ ঠিক করতে অবিলম্বে ভবনটি ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে পরীক্ষা করানো উচিত। প্রবল তাপ সহ্য করার পর এতবড় কাঠামোর আর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি রয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে গোটা বহুতলটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে বাগরি মার্কেট।
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন নিভলেও জারি থাকবে ভবন ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া। আরও কয়েকদিন সেই কাজ। ইতিমধ্যে বাগরি মার্কেট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সেই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে পুলিস ও দমকল।