মে ইউ বিল্ড এ ল্যাডার টু দ্য স্টার্স
অ্যান্ড ক্লাইম্ব অন এভরি রাং
মে ইউ স্টে ফর এভার ইয়াং
ফর এভার ইয়াং, ফর এভার ইয়াং 
মে ইউ স্টে ফর এভার ইয়াং
ফর এভার ইয়াং... 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান। উফস! সরি। তিনি তো আসলে বব। বব ডিলান। অবশ্য এই নামটা তাঁর ধার নেওয়া। প্রিয় কবি ডিলান থমাসের নাম থেকেই বব ডিলান পরিচিতি। রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যানের বব ডিলান হয়ে ওঠার পিছনে কিন্তু রয়েছে আরও একটা স্পার্ক। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হওয়া রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যানের মিউজিক অ্যালবাম 'দ্য ফ্রি হুইলিং বব ডিলান'। এরপর বাকিটা ইতিহাস। ইতিহাসের পাতায় তিনি আগেও ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবেন। তবে এবার বব ডিলান এক্কেবারে সামনের পাতাগুলোতে চলে এলেন। গীতিকবিতার আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত যে যে কিংবদন্তিদের নাম সময়ের নিয়মে মুক্তোর মালায় মুক্ত হয়ে জুড়তে থাকবে বব ডিলান সেই মুক্তোর মালায় একটি হীরে। রবীন্দ্রনাথের নামের সঙ্গেই এখন বব ডিলানও একসঙ্গে উচ্চারিত হবে। নোবেলের স্বর্ণাঙ্কিত ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশের সিটেই এবার বব। তবে কী এটাই ববের বেঙ্গল কানেকশন? আজ্ঞে একেবারেই তা নয়।


 


আজ থেকে প্রায় আড়াই দশক আগে ১৯৯০ সালের এক পাতাঝড়া বসন্তে কলকাতায় এসেছিলেন 'দ্য গ্রেট' বব ডিলান। বন্ধু পূর্ণ দাস বাউলের ছেলের বিয়েতে ঝটিকা সফরে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়াতে এসেছিলেন নোবেল জয়ী কিংবদন্তি বব ডিলান। মাত্র এক ঘণ্টা সময় কাটিয়েই ফিরে গিয়েছিলেন। "বব ডিলান ঢাকুরিয়াতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখান থেকে আমার সঙ্গেই গিয়েছিলেন বালিগঞ্জ", স্মৃতিচারণায় বললেন পূর্ণ দাস বাউলের ছেলে দিব্যেন্দু। "অনুষ্ঠানে মাত্র এক ঘণ্টাই ছিলেন। হয়ত আরও কিছুটা সময় থাকতেন। তবে মিডিয়ার হুল্লোড়ে তিনি আর সময় কাটাননি", কিছুটা আক্ষেপ করেই বললেন দিব্যেন্দু। 


বন্ধু বব ডিলানের নোবেল প্রাপ্তির খবরে খুশি পূর্ণ দাস বাউল। নিজের সঙ্গে বব ডিলানের কাটানো মুহূর্তগুলোর মধ্যে টুকরো টুকরো ছবির কথা গানের সুরের মতই বলে ফেললেন তিনি। বব ডিলান নাকি নিজেকে আমেরিকার বাউল বলতেন, স্মৃতি হাতরাতে গিয়ে এই কথাই বলেলন বাউল পূর্ণ দাস। আরও বললেন ডিলানের জন্মদিনে বাংলার লোক গানের সিডি উপহার দেওয়ার কথাও।