Kolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক! তীব্র চাঞ্চল্য
এক যাত্রী বিমানে উঠেই চিৎকার করতে থাকেন যে বিমানে বোমা রাখা আছে। তাঁর চিৎকারে বিমানে থাকা অন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সৌমেন ভট্টাচার্য : কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক। কলকাতা বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে বোমাতঙ্ক। এদিন ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ওড়ার কথা ছিল কাতার এয়ারলাইনসের ৫৪১ বিমানটির। কলকাতা থেকে দোহা হয়ে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল।
সেইজন্য বিমানে যাত্রীদের ওঠানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে এক যাত্রী বিমানে উঠেই চিৎকার করতে থাকেন যে বিমানে বোমা রাখা আছে। তাঁর চিৎকারে বিমানে থাকা অন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপরই গোটা বিষয়টি সিআইএসএফকে জানানো হয়। জানানো হয় সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষকে। এরপরই ওই বিমান থেকে ওই যাত্রী সহ বাকি যাত্রীদেরও নামিয়ে আনা হয়। মিস্টার জন জাভেদ কাজি নামে যুবক বিমানে বোমা রাখা আছে বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে সিআইএসএফ।
তিনি কোথা থেকে জানতে পারলেন যে বিমানে বোমা রাখা আছে? তাঁর কাছে জানতে চান সিআইএসএফ আধিকারিকরা। উত্তরে ওই যুবক বলেন, 'আমাকে একজন বলেছে।' ওই যুবককে বিমানবন্দরে ছাড়তে এসেছিল তাঁর বাবা। এরপরই তাঁর বাবার সঙ্গেও কথা বলেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা। তাতেই স্পষ্ট হয় গোটা ঘটনা। ওই যুবকের বাবা জানান, একটি বিরল রোগে আক্রান্ত তাঁর ছেলে। সেই জন্য মাঝে মাঝে এরকমভাবে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে ওঠে। তাই সে এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে। ওই যুবকের মেডিকেল কাগজপত্রও দেখান তিনি। তাতে দেখা যায়, মিস্টার জন জাভেদ কাজি নামে ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ।
যদিও তারপরও বিমানটিতে তল্লাশি চালানো জারি রাখেন সিআইএসএফ-এর আধিকারিকরা। রীতিমতো পুলিস কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। শেষে যখন আর কিছু সন্দেহভাজন বস্তু বিমানে পাওয়া যায়নি, তারপরই ওড়ার ছাড়পত্র মেলে। সবশেষে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা নাগাদ ১৮৬ জন যাত্রী নিয়ে দোহার উদ্দেশে উড়ে যায় কাতার এয়ারলাইনসের বিমানটি। ১৮৬ জন যাত্রীর মধ্যে ক্রু সদস্যরাও আছেন।
আরও পড়ুন, Rujira Banerjee: রুজিরাকে নোটিস, কয়লা পাচার মামলায় তলব ইডির! ৮ জুন হাজিরার নির্দেশ