মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বহু মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনই এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগও আসছে বিস্তর। বহু হাসপাতাল ওই কার্ডে রোগীকে পরিষেবা দিতে চায় না। কোথাও নথি তৈরিতে বিরাট ফাঁকফোকর থেকে যাচ্ছে। এনিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। বুকিং ও ডিসচার্জের নথিতে এবার থেকে থাকতে হবে চিকিত্সকের স্বাক্ষর। স্বাস্থ্য সাথী সমিতি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পেছনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত বেসরকারি হাসপাতালগুলি যখন কোনও রোগীর খরচের ক্লেম করে তখন যে বিল জমা দেওয়া হয় তখন সেই বিলে চিকিত্সকের নাম থাকলেও তাঁর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোন প্য়াকেজে রোগী ভর্তি হয়েছেন তা জানেনই না চিকিত্সক। অর্থাত্ কোনও কোনও সময় এমনও হয়েছে যে চিকিত্সক একটি রোগের চিকিত্সা করেছেন অথচ অন্য প্যাকেজের বিল দেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতেই বিল ও ডিসচার্জ নথিতে চিকিত্সকের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমিতি দেখতে চাইছে কোন চিকিত্সক কত বেশি স্বাস্থ্য সাথীর কাজ করছেন। কোনও রোগীর ক্ষেত্রে যদি আইনি সমস্য়া হয় তাহলে তার দেখার জন্যও এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'এক হাজার কবিতার একটা বই লিখুন...নিজে নিজে ১২৫টা বই লিখুন'


স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নিয়ে আসা বহু অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডকে মান্যতা দিতে হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও চিকিত্সার সুযোগ পাচ্ছেন না আমজনতা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জুন মাসে রাজ্য ও জেলা স্তরে একটি নজরদারি কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় চিফ মেডিক্যাল অফিসারকের চেয়ারম্যান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। তারা সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিত্সা করতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতি মাসে ৬টি বেসরকারি হাসপাতালে ওই নজরদারি কমিটির যাওয়ার কথা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)