নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় একমাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তবু বউবাজারের বিপর্যয় আজও একইরকম দগদগে বাসিন্দাদের কাছে। ঠিক কতটা এগিয়েছে কাজ? কী অবস্থায় রয়েছে দুর্গা পিথুরি লেন? সরেজমিনে ঘুরে দেখল জি ২৪ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বউবাজারের ধ্বংসস্তুপের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে জমেছে অভিযোগও। গত ১ মাসের দীর্ঘ টালবাহার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাজে তিতিবিরক্ত বাসিন্দা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে সমস্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন KMRCL-কে। এমনকি বাড়ি ভাঙার কাজও বন্ধ থাকুক এমনটাই চাইছেন বাসিন্দারা।



তাঁদের দাবি, তাঁদের দেওয়া একটা কথাও রাখেনি KMRCL। এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী বাসস্থান পাননি কেউই। এমনকী স্বর্ণশিল্পী ও ব্যবসায়ীদেরও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এসবের মাঝে বাড়ি ভেঙে ফের নতুন বিপর্যয় হোক চাইছেন না বাসিন্দারা। 


কাজ বন্ধের দাবিতে আজ তাঁরা দুর্গা পিথুরী লেন ও বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মুখে পুলিসের বসানো গার্ড রেল জোর করে সরিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন এলাকার বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বন্ধ করে দেন বাড়ি ভাঙার কাজও।  বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের দাবি, পুজোর কটাদিন তাদের অন্তত বিনা উদ্বেগে থাকতে দেওয়া হোক। তাদের ভয়, যেভাবে বড় বড় জেসিবি মেশিন দিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে, তাতে নতুন করে এলাকায় বিপর্যয় হতে পারে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ KMRCL।


আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টির শিকার উত্তর দিনাজপুরে, ক্ষয়ে যাওয়া দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু শিশুর


KMRCL-এর যুক্তি, আদালত মেট্রো প্রকল্পের অগ্রগতির কাজ বন্ধ রাখতে বললেও এলাকার বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিদের কোনও নির্দেশ তাঁরা পাননি। পাশাপাশি বাড়িগুলি ভাঙার কাজ যতটা এগিয়েছে, তাতে এই অবস্থায় সেই কাজটাও বন্ধ রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই আশঙ্কা। আধ ভাঙা বাড়ি গুলি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে। তাই এই কাজ চালিয়ে যাবে KMRCL।