সম্মতি মিলেছে বাসিন্দাদের, কাল থেকেই শুরু হবে বউবাজারে বাড়ি ভাঙার কাজ
তালিকা অনুযায়ী আগামিকাল দুর্গা পিতুরি লেনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে। পুরসভার অনুমতি নিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ করবে কেএমআরসিএলের নিজস্ব সংস্থা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাল থেকেই শুরু হবে বৌবাজের বাড়ি ভাঙার কাজ। ইতিমধ্যেই বউবাজার এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন পুরসভার কর্মীরা। সূত্রের খবর, প্রথমেই এলাকার বিপজ্জনক অংশগুলি ভেঙে সরিয়ে ফেলবেন তাঁরা। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য বাড়ি ভাঙা হবে। তালিকা অনুযায়ী আগামিকাল দুর্গা পিতুরি লেনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে। পুরসভার অনুমতি নিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ করবে কেএমআরসিএলের নিজস্ব সংস্থা।
আগেই কেএমআরসিএলের ইঞ্জিনিয়াররা দফায় দফায় বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। তালিকায় উঠে এসেছে ৫টি বাড়ি। যদিও শুরুতে বাড়ি ভাঙায় বাসিন্দাদের সম্মতি না থাকলেও, পরবর্তীতে এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার অনুমতি দেন তাঁরা। এরপরই শুরু হয় কাজ। ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় গৃহস্থলীর জিনিস বের করে আনার ব্যবস্থা চলছে। সূত্রের খবর, বউবাজার বিপর্যয়ের পর মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে যে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটির তত্ত্বাবধানেই চলছে সমস্ত কাজ। যত শীঘ্রই সম্ভব কাজ শেষ করা হবে বলেই সূত্রের খবর।
তবে বৃষ্টির কারণে কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে পুরকর্মীদের। নজরে রাখা হচ্ছে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও। তাই আটঘাঁট বেধেই নামার পরিকল্পনা। অন্যদিকে আইন অনুযায়ী যেহেতু বাড়ির মালিকের সম্মতি ছাড়া বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ করা যায় না সে কারণেই এতদিন বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে পারেনি পুরসভা। এবার বাসিন্দাদের সম্মতি মিলতেই তড়িঘড়ি শুরু হল কাজ।
আরও পড়ুন: বউবাজারে বিপর্যয়! শুরু হল ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ
কেএমআরসিএলের জিএম অ্যাডমিন এ কে নন্দী জানান, “বাড়ি ভাঙার জন্য তিনটি পরিবারের সম্মতি মিলেছে। বাকি দুটি পরিবার হোটেলে আছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে আরও বাড়ি ভাঙার প্রয়োজন হলে তা স্থির করবে কেএমআরসিএলএর বিশেষজ্ঞ পরিদর্শক দল”