SSC Recruitment, Bratya Basu: কবে থেকে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু? জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য
SSC Recruitment, Bratya Basu: শূন্যপদের সংখ্যা কত, কী জানালেন ব্রাত্য বসু? নতুন নিয়োগ দ্রুত। আর আন্দোলনকারীদের নিয়োগ নিয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্রেয়সী গাঙ্গুলি: নতুন নিয়োগে কোনও বাধা নেই। পুজোর আগেই এসএসসি-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এমনই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার নিয়োগ নিয়ে এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, "নতুন নিয়োগে কোনও বাধা নেই। পুজোর আগেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক ও প্রধানশিক্ষক মিলিয়ে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২১ হাজার।" যে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুজোর আগেই শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে, এসএসসি আন্দোলনকারীদের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁদের নিয়োগ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আইনের দিকটাও দেখতে হবে। কারণ, শুধু সহানুভূতি দিয়ে হবে না, আইনটাও জানতে হবে। বেআইনিভাবে আমরা কিছু করতে চাই না।" উল্লেখ্য, ৮ তারিখ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করার পরই আসরে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রথমে ফোন করে কথা বলেন এসএসসি আন্দোলনকারী নেতা সইদুলের সঙ্গে। তার পরদিন কথা বলেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এসএসসি আন্দোলনকারীদের 'নিয়োগ সুনিশ্চিত' করার আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে এসএসসি আন্দোলনকারীরা জানান, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই আলোচনা সম্পূর্ণরূপে ইতিবাচক। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেধাতালিকা অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক পদপ্রার্থীর নিয়োগ সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগের চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণরূপে আশস্ত করলেন।'
যদিও অভিষেকের এই আসরে নামাকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বিরোধী বাম শিবির। তীব্র কটাক্ষে আঘাত হেনেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'যারা দুর্নীতির মধ্যে রাজনীতি করেন, তারা দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ করবেন কী করে? এটা আরেকটা দুর্নীতির পদক্ষেপ। অভিষেক এতদিন পর চেষ্টা করছেন? কেন? পার্থ ধরা পড়ার পরে? আমার সাদা কাগজে চ্যালেঞ্জ, ওরা সরে যাক, মেধাভিত্তিক নিয়োগ করতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।'
পাল্টা কুণাল ঘোষ তোপ দাগেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিরোধীরা চায় না এসএসসির জট খুলুক। তাই তাদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। বিরোধীদের পাল্টা বক্তব্য, কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই নিয়ে বৈঠকে বসলেন? তিনি কে? যার পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ আবার পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, দুঃখ হচ্ছে নাকি? সবাই জানেন একট জট হয়েছে। সেটা যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলার চেষ্টা করতে থাকেন তাতে কি কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির দুঃখ হচ্ছে?
আরও পড়ুন, SSC, Calcutta High Court: শিক্ষকদের বদলির নিয়ম 'পালটে' দিল হাইকোর্ট!