ওয়েব ডেস্ক: সোমবারের পর আবার শুক্রবার। যান্ত্রিক বিভ্রাটে ফের নামানো গেল না বাস্কেল সেতু। ব্যাপক যানজটের শিকার হল খিদিরপুর। বৃহস্পতিবার রাতে বন্দরে জাহাজ ঢোকানোর জন্য সেতু তোলা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা আর নামানো যায়নি। বেলা এগারোটার পর দু-দিক নামিয়ে এনে সেতু জোড়া দেওয়া সম্ভব হলে ফের শুরু হয় যান চলাচল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রাতে সেতুর দু-দিক উঠে যাওয়ার পর আর তা নামানো যায়নি। বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য সাধারণত রাত বারোটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত খিদিরপুরের বাস্কেল সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সময় পেরিয়ে গেলেও এ দিন আর নামানো যায়নি সেতু।


হুগলি নদী থেকে বন্দরে ঢোকার পথে গার্ডেনরিচ রোডে বাস্কেল সেতু। নজরুল সেতু পোশাকি নাম। খিদিরপুর-মেটিয়াবুরুজ সংযোগে লাইফ লাইন। সেতু বিগড়ে যাওয়ায় এ দিন দুপুর পর্যন্ত কার্ল মার্কস সরণি দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিস।


রবিবার রাতে শর্ট সার্কিট থেকে মোটর বিগড়ে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ সেতু নামানো যায়নি বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে ফের যান্ত্রিক ক্রুটি। ফের জোড়া গেল না সেতু। প্রবল যানজটে আটকে পড়লেন খিদিরপুর-গার্ডেনরিচ এলাকার মানুষ। কলকাতা বন্দর এবং গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের ইঞ্জিনিয়ারদের চেষ্টায় বেলা এগারোটার পর সেতু নামানো সম্ভব হলে শুরু হয় যান চলাচল।


খিদিরপুরের বাস্কেল সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে কলকাতা বন্দর। জাহাজ চলাচলের জন্য সেতুর দু-পাশ দু-দিক থেকে তুলে দেওয়া হয়। জাহাজ চলে গেলে আবার সেতুর দু-দিক নামিয়ে এনে যান চলাচলের ব্যবস্থা হয়।


১৯৬৬-র ১৫ নভেম্বর খুলে দেওয়া হয় খিদিরপুরের বাস্কুল সেতু। ২০২ ফুট লম্বা ৪১ ফুট চওড়া সেতুটি তৈরি করে অস্ট্রিয়ার ওয়াগনার বিরো ব্রিজ সিস্টেম নামে একটি সংস্থা।
সেতুর দু-পাশ ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি উঠে গিয়ে জাহাজের পথ করে দেয়। শূন্য ডিগ্রি থেকে ৭০ ডিগ্রি উচ্চতায় পৌছতে এবং আবার শূন্য ডিগ্রিতে নেমে এসে সমান্তরাল রাস্তার রূপ নিতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। খিদিরপুরের এই সেতুটির মতো দেশে আর দুটি মাত্র সেতু রয়েছে। একটি মুম্বই বন্দরে, অন্যটি রামেশ্বরমে।  


বাস্কেল সেতু বিগড়ে খিদিরপুর এলাকায় যানজটের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ছয় মাস সেতু বন্ধ রেখে সারাইয়ের কথাও উঠেছে। তবে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বন্দর সূত্রে খবর, সেতু সারাতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দরকার। অস্ট্রিয়ার সংস্থার সাহায্যে সেই কাজ করা হবে বলে ঠিক হলেও এখন বন্দরের বোর্ডের অনুমোদন মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য এ সব জটিলতায় না ঢুকে চাইছেন সমস্যার স্থায়ী সমাধান।