জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মূলত শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম জমানার দ্বিতীয় ও শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ছিলেন পলিটব্যুরোরও সদস্য। এদিন সকালে প্রাতঃরাশও করেছিলেন বুদ্ধদেব। কিন্তু তারপরই অবস্থার অবনতি হয় বলে খবর। সকাল ৮টা বেজে ২০ মিনিটে  পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই জীবনাবসান হয় কমরেড বুদ্ধদেবের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, কদিন ধরেই জ্বর ছিল। কাল বাড়িতে রক্তপরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু রিপোর্টে সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। বাড়িতেই চিকিত্‍সা চলছিল তাঁর। কারণ হাসপাতালে থাকতে পছন্দ করতেন না তিনি। আজ সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল খুব দ্রুত অনেকটা কমে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বুদ্ধবাবুর পারিবারিক চিকিত্‍সককে। কিন্তু তিনি এসে পৌঁছানোর আগেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বলে পারিবারিক সূত্রে খবর। গত বছর, ২০২৩-এর ২৯ জুলাইও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেইসময় তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে মারাত্মক সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। প্রথম দিকে কদিন হাসপাতালে কোমাতেই ছিলেন বুদ্ধবাবু। তারপর ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিতে থাকেন। সেবারের লড়াইটা জিতে, ১২ দিন পর ৯ অগাস্ট হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন বুদ্ধবাবু। 


তার আগে ২০২১ সালে কোভিড সেকেন্ড ওয়েভের সময় মে মাসের মাঝামাঝি কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। তবে সেই লড়াইটাও জিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন আর হল না... বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকসন্তপ্ত বুদ্ধবাবুর অগণিত অনুগামী। সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেক দিন আগেই বিদায় নিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। ২০১১ সালে যাদবপুর কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার পরই তাঁকে সেভাবে আর দলের কোনও সক্রিয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। ২০১৯ -এর ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার বুদ্ধবাবুকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল। দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে, পাশে থাকার বার্তা দিতে অসুস্থ শরীর নিয়েই সেদিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেছিলেন তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত আর মঞ্চে ওঠায় সায় দেয়নি শরীর। মঞ্চে না উঠেই ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে যে ১২ মিনিট বুদ্ধবাবু ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিলেন, তাতেই বাম কর্মীদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। 


আরও পড়ুন, Buddhadeb Bhattacharya: 'বাংলার রাজনীতিতে ভালো মানুষদের অন্যতম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য'



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)