নিজস্ব প্রতিবেদন : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রাতে তাঁকে ১ ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে। আরও ১ ইউনিট রক্ত দেওয়া হবে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল, সেটা খানিকটা বেড়েছে। অক্সিজেনও হাল্কা চলছে। চেস্ট এক্স-রে হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। আরও বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তবে তিনি কথা বুঝতে ও বলতে পারছেন। রাতে ঘুমিয়েওছেন। বিশেষজ্ঞদের সর্বক্ষণের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সকালে মেডিক্যাল বুলেটিন পেশ করে এমনটাই জানাল উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শুক্রবার সন্ধেয় প্রবল শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্ধে ৭.৩২ মিনিট নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর রক্তচাপ কমে গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাঁর। হারিয়ে ফেলেছেন সংজ্ঞা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের আইসিসিইউ তৈরি রাখা হয়। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাসপাতালেই ছিলেন। ডেকে পাঠানো হয় আরও একজনকে। বুদ্ধবাবুকে রাখা হয় আইসিসিউ-এর ৫১৬ নম্বর বেডে। বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর।


বুদ্ধবাবুর অসুস্থতার খবর পেয়েই ছুটে আসেন সিপিআইএম নেতা তথা চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। নেতার আরোগ্য কামনায় হাসপাতালে ছুটে আসেন রবিন দেব, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম সহ সিপিআইএম নেতৃত্ব। পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে রাতে সস্ত্রীক হাসপাতালে আসেন রাজ্যপাল জগনদীপ ধনখড়। মিনিট ১৫ হাসপাতালে থাকেন তিনি। তখন খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন বুদ্ধবাবু। রাজ্যপালের হাত ধরে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।


আরও পড়ুন, চিকচিক করে উঠল চোখ, আবেগপ্রবণ ইসরো প্রধানকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা মোদীর


এদিকে, খানিকটা সুস্থ হতেই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে বোঝাতে হিমশিম খায় সিপিআইএম নেতৃত্ব। রবীন দেব বলেন, "উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। ওনাকে বোঝানো হয়েছে চিকিৎসকদের কথা শুনতে হবে এখন।" প্রসঙ্গত, হাসপাতাল বরাবরই তাঁর না-পসন্দ। বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা তাঁর বাসভবনেই করা হয়েছিল। শুক্রবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে দলের তরফে তাই আবেদন করা হয়েছে, "বেশি লোক হাসপাতালে যেন না আসে। সবাইকে আবেদন হাসপাতালে ভিড় করবেন না।"