শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে ওই পদ নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শনিবার সন্ধের পর ওই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্যপাল। ছাত্র মৃ্ত্যু ঘটনার মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাস্তা থেকে পিছলে নদীতে পড়ল সেনার ট্রাক, লাদাখে নিহত জেসিও-সহ ৯ জওয়ান


উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। সেই ঘটনার ১০ দিন পর এই নিয়োগ হল। ওই ঘটনার পর যেসব কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে করার প্রয়োজন ছিলা সেগুলি হচ্ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার বলছিলেন যেহেতু কোনও উপাচার্য নেই তাই ওইসব কাজ সামলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু  নির্দেশ কেউ দিতে পারছে না। সেময় সিসিটিভি কোথায় বসবে, তার অর্থ কোথা থেকে আসবে সেরকম কিছু নির্দেশিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমি হচ্ছিল। ফলে এবার উপাচার্য আসার ফলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যাদবপুরের কোর্ট মেম্বাররা সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেও তাঁরা উপাচার্য নিয়োগের দাবি করেন বলে জানা যাচ্ছে।


এদিকে, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে গ্রেফতার ৩ পড়ুয়াকে লালবাজারে জেরা করেন পুলিস কমিশনার। পাশাপাশি প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকেও জেরা করা হয়।  গতকালই ওই তিন ছাত্র নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার ও সত্যব্রত রাইকে গ্রেপতার করা হয়। এদের একজন বর্তমান পড়ুয়া ও বাকী ২ জন প্রাক্তনি।


ওই তিনজনের পুলিস হেফাজত নিয়ে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য়, এরা সফল অপরাধী কিন্তু ব্যর্থ অভিনেতা। ঘটনার সময় এরা ছিল। গোটা অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত। এরা বারবারই তদন্তকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। একেক সময় একেক রকম কথা বলছে। একটা ছেলের উপরে এমন অত্যাচার হল যে তার মৃত্য়ু হল। সেই অপরাধটা তারা সফলতার সঙ্গে সংঘটিত করল। কিন্তু পুলিসের কাছে যখন বিষয়টি এল তখন তাদের অভিনয়ের ফাঁকফোকরটা ধরা পড়ে যাচ্ছে। এটা একেবারে অর্গানাইজড ক্রাইম। যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সবাই ওই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত।


এর আগে এদের  জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ডিসি, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম পদমর্যাদার অফিসাররা। আজ সৌরভ চৌধুরীকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসবাদ করেন পুলিস কমিশনার। এদিন হিমাংশু, সত্যব্রত ও নাসিরকে হেফাজতে পায় পুলিস। তারপর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় সিপির অফিসে। এদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিপি। তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে এসেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাশাপাশি জেরায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দিচ্ছে অভিযুক্তরা। সেইসব বয়ান থেকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতেই এবার সরাসরি জেরা করছেন কমিশনার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)