নিজস্ব প্রতিবেদন : 'অসাবধানতার' জেরে সাতসকালে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হাত খোয়ালেন এক বাসযাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালি মন্দির এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তি বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা গিয়েছে, উৎপল কর্মকার নামে বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তি হরিদেবপুর থেকে বাসে ওঠেন। ভবানীপুরের রূপনারায়ণ নন্দন লেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। ৪০এ রুটের বাসে করে তিনি হরিদেবপুর থেকে  টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর দিকে যাচ্ছিলেন। বাসের বাঁ দিকের জানলায় বসেছিলেন তিনি। 'অভ্যাসবশত' জানলায় হাত রেখে বসেছিলেন। বাঁ হাতের কিছুটা অংশ জানলা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে ছিল।


সেইসময়ই ঘটে দুর্ঘটনাটি। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ৯টা। রাস্তার একেবারে গা ঘেঁষে থাকা নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির পিলারে সজোরে ধাক্কা খায় হাত। সঙ্গে সঙ্গেই হাত খুলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই যাত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও পড়ুন, কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত ২ ছাত্র


দুর্ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। রাস্তার পাশে একটি নর্দমা ছিল। হাত খুলে ওই নর্দমায় গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ওই জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা-নর্দমা। রাস্তার গা ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা নির্মীয়মাণ বাড়ির ওই পিলার এরপর ভেঙে দিতে উদ্যত হয় ক্ষিপ্ত জনতা। শাবল, গাঁইতি দিয়ে পিলার ভাঙতে দেখা যায় স্থানীয়দের।


এদিকে, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে উত্পল কর্মকারের বাঁ হাতের কেটে যাওয়া অংশের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটা হাত জোড়া লাগানো নিয়ে এসএসকেএম ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে কর্তৃপক্ষের। তবে, কাটা অংশের যা অবস্থা, তাতে জোড়া লাগানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন চিকিত্সকরা।