প্রসেসড ফুডের হাত ধরে সরকারের আয় বেড়েছে ৪০০ শতাংশ
কৃষি, শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাণী সম্পদ উন্নয়নেও অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। নানা উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো `বিশেষ গো সম্পদ বিকাশ অভিযান` -এর সম্প্রসারণ। এই অভিযানে ২০১৪-১৫ থেকে রাজ্যের ব্লক সংখ্যা বড়িয়ে ১০০ থেকে ৩৪১টি করা হয়ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে বাড়ানো হয়েছে প্রাণীবন্ধুদের সংখ্যা। ২৬৫০ জন অতিরিক্ত প্রাণীবন্ধু নিয়োগ করা হয়ছে। পশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ২৫টি মোবাইল পশু চিকিৎসালয় শুরু করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে আরও ১৫টি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ওয়েব ডেস্ক: কৃষি, শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাণী সম্পদ উন্নয়নেও অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার। নানা উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো 'বিশেষ গো সম্পদ বিকাশ অভিযান' -এর সম্প্রসারণ। এই অভিযানে ২০১৪-১৫ থেকে রাজ্যের ব্লক সংখ্যা বড়িয়ে ১০০ থেকে ৩৪১টি করা হয়ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে বাড়ানো হয়েছে প্রাণীবন্ধুদের সংখ্যা। ২৬৫০ জন অতিরিক্ত প্রাণীবন্ধু নিয়োগ করা হয়ছে। পশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ২৫টি মোবাইল পশু চিকিৎসালয় শুরু করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে আরও ১৫টি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সরকারের উদ্যোগে ১০ বছরের বিরতির পর ফের চালু হয়েছে বর্ধমানের ডেয়ারি। খরচ হয়েছে ৫.৭৪ কোটি টাকা। দুর্গাপুরের ডেয়ারিকেও পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেঙ্গল ডেয়ারি, কলকাতাকে। পূর্ব মেদিনীপুর স্থাপন করা হয়েছে নতুন জেলা দুগ্ধ ইউনিয়ন 'তাম্রলিপ্ত মিল্ক ইউনিয়ন'। এছাড়াও পশ্চমবঙ্গ সরকারের ' লাইভ স্টক ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন' চালু করছে কিছু মাংসের প্রক্রিয়াকরণ। এর মধ্যে রয়েছে চিকেন পপকর্ন, চিকেন সালামি, চিকেন চিস ইত্যাদি। চিকেন ছাড়াও এই প্রসেসড ফুডের তালিকায় কোয়েল, হাঁস, টার্কি, খরগোস। আর সরকারের তৈরি এইসব প্রসেসড খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে স্পেন্সারের মতো রিটেল দোকান। এর ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ! জেলার পোলট্রি ফার্ম গুলোতে দেওয়া হয়েছে আধুনিক পরিকাঠামো। নতুন পরিকাঠামোয় মেদিনীপুর স্টেট পোলট্রিতে বর্তমানে উৎপাদন বছরে ৪ লক্ষ।
প্রসেসড ফুড ছাড়াও আইসক্রিম, দই এসবেও রাজ্যসরকার পাল্লা দিচ্ছে বাজারে চলতি ব্র্যান্ড গুলিকে। ঠক্করস ডেয়ারি বাংলায় একটি নতুন দুধ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে যাখানে প্রতি দিনের উৎপাদন ৫ লক্ষ লিটার।