New Town Agitation: নিউ টাউনে দোকান উচ্ছেদ ঘিরে তুলকালাম, সরকারি কর্মীদের তাড়া ব্যবসায়ীদের
New Town Agitation: ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এনকেডিএ
নান্টু হাজরা: নিউ টাউনে দোকান উচ্ছেদকে ঘিরে তুলকালাম। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। হিডকোর লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল দোকানদারদের বিরুদ্ধে। এলাকায় জলের পাইপ ও নিকাশী নালা তৈরির করার লক্ষ্যেই ওইসব দোকান সরানো হচ্ছিল। নোটিস দেওয়া, মাইকিং করার পরও গোলমাল করা হয়েছে অভিযোগ, হিডকোর।
আরও পড়ুন-আচমকাই আবহাওয়ার তুমুল বদল! বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাটবে বড়দিন?
শনিবার নিউ টাউনের তারুলিয়া ঝিলপাড় এলাকায় ওইসহ দোকান উচ্ছেদ করতে যায় হিডকোর লোকজন। সেই খাবর পাওয়ার পরই ছুটে আসেন দোকানদার ও তাদের লোকজন। শুরু হয়ে যায় গন্ডগোল। তাদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ওইসব দোকান সরাবেন না। কোনও নোটিস না দিয়ে এনকেডিএ আজ সকালে মাইকিং করে উচ্ছেদ শুরু করে দিয়েছে। এরকম অভিযোগেই এনকেডিএ ও ব্য়বসায়ীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রাস্তা অবরোধ করেন ব্যবস্য়ায়ীরা। কোনও আগুন জ্বালিয়ে রাস্তায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এনকেডিএ।
ওই বিক্ষোভ নিয়ে এনকেডিএ-র সিও প্রশান্ত কুমার বারুই জানান, নোটিস আগেই দেওয়া হয়েছিল। দোকানে নোটিস লাগানো হয়েছিল ১৫ নভেম্বর। তার পর মাইকিং করা হয়। ওখানে দু-চারজন লোক ছিল। তাদের নিজেদের স্বার্থে কিছু লোককে বিক্ষোভ দেখাতে উৎসাহ দিচ্ছে। ওখানে সময় দেওয়া হয়েছিল যে এক সপ্তাহের মধ্যে ওরা নিজেরা দেকান সরিয়ে নেবে। এখানকার লোকের দাবি জলের পাইপ লাইন ও সোয়ারেজ লাইন। যেগুলো দোকানের জন্য করা যাচ্ছে না। আমরা আজ আচমকা আসিনি। আমরা যেটা করেছি সরকারি নিয়ম সরকারি নির্দেশ মেনে। সরকারের যেটা নির্দেশ আছে সেটা হল একটা হকারকেও পুনর্বাসন না দিয়ে সরাব না। এরকম পরিকল্পনা আমাদের আছে। দু চার মাস দেরি হতে পারে এবং এটা ওরা সবাই জানে। ওখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা দুটো লোক বাপি এবং খোকন ওই দুটো ছেলে সবাইকে নির্দেশ দিচ্ছিল। মহিলাদের এগিয়ে দিচ্ছিল। ওরা আমাদের লোকজনদেরকে মারধর করেছে। যারা সত্যি সত্যি দোকান করে খায় তাদের সবাইকে দোকান দিয়ে তবে আমরা এটাকে করছি। আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল একশোর উপরে ওরা ছিল চারটে পাঁচটা ছেলে। সুতরাং আমরা মারধর করলে ওরা বেরিয়ে যেতে পারত না। সুতরাং আমরা ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। ব্লক সুপারভাইজার তিনি এখন বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)