অঞ্জন রায়: লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বাংলায় শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তা সুগম হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ''ক্ষমতার লোভে দেশ ভাগ করেছে কংগ্রেস। সেই সময় যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছিলেন, সেই মুসলিমদের সমস্যার কোনও কারণ নেই।   ভারতীয় মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে এক চুলও কম বা বেশি পাওয়ার বিষয় নেই।'' বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন রাহুল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের প্রচারপর্ব থেকে নাগরিকপঞ্জির দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করেছেন, বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের তাড়ানো হবে না। তাঁরা এদেশেই থাকবেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ছিল। তার সুফলও মিলেছে ইভিএমে।  মতুয়া ভোটের সিংহভাগই চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। সোমবার লোকসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাজ্য বিজেপির দাবি, প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে কারণে রাজ্যে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। রাহুল সিনহা এদিন বলেন,''প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যে জন-অভিনন্দন জানাবেন শরণার্থীরা। এমন একটা কর্মসূচির ভাবনাচিন্তা করছি।''


তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা উদ্বাস্তুদের দেশছাড়া করার অপপ্রচার করেছে বলেও অভিযোগ করেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়,''বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মুখ্য়মন্ত্রী নানাভাবে জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন। সিপিএম ও তৃণমূল এতদিন প্রচার করেছে, এনআরসি করে রাজ্য বা দেশছাড়া করা হবে। উদ্বাস্তুদের ভয় দেখানো হয়েছে। যদিও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলে গিয়েছেন, আগে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হবে। তারপর এনআরসি। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া ভারতের কর্তব্য। সেই কর্তব্যই পালন করছে।'' 



নাগরিকত্ব বিলে মুসলিমদের না থাকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। রাহুল সিনহার মন্তব্য, বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ থেকে আগত মুসলিমরা কেন পাবে না? ক্ষমতার লোভে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের কোনও সমস্যা হবে না।  ভারতীয় মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে একচুলও কম বা বেশি পাওয়ার বিষয় নেই।  বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। ওখানে রাম নাম করপা যায়। নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। বাংলাদেশে স্লোগান উঠছে, একটা-দুইটা হিন্দু ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর। মালাউনের বাচ্চা শুনতে হচ্ছে হিন্দুদের। কীভাবে থাকবেন ওখানে? মুসলিমরা বাংলাদেশ থেকে এখানে আসছে সংখ্যা বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে। ইসলামিক চক্রান্ত এটা। জমি পরিবার ওখানে আছে। আবার এখানে এসে বিয়ে করছে, জমি কিনছে, আমাদের খাদ্যে ভাগ বসাচ্ছে। এখানে সন্তান-সন্ততি রয়েছে। ওখানেও রয়েছে। যৌথ ব্যবস্থা চলছে। ভারতীয়দের রোজগার, খাবারে ভাগ বসাচ্ছে বাংলাদেশিরা।    


আরও পড়ুন- রাহুলের ভুল নয় বাংলায়, পঞ্চায়েত থেকে শিক্ষা- রণনীতি বদলে ফেলছে তৃণমূল