R G Kar Scam | Sandip Ghosh: সিবিআই-এর সাঁড়াশি চাপে সন্দীপ! আরজি কর দুর্নীতিতে হাইকোর্ট দিল বড় নির্দেশ...
R G Kar: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দেহ পাচারের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বাংলাদেশে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বিক্রি! ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়া থেকে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকার নয়ছয়ের অভিযোগ।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলাতেও এবার সিবিআই। সিবিআইকে আরজি করের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার দিল হাইকোর্ট। যেহেতু আরজি করের এক চিকিৎসকের মৃত্যুতে তদন্ত করছে সিবিআই, তাই এই তদন্তভারও তাদের দেওয়া হল। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তের নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা মামলায় দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। তিন সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। ১৭ সেপ্টেম্বর সেই রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। পাশাপাশি, আদালত এদিন এই নির্দেশও দিয়েছে যে, মামলাকারী আখতার আলি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দেহ পাচারের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। পাশাপাশি, আরও অভিযোগ বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট মানে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গ্লাভস, স্যালাইনের বোতলও পাচারেও জড়িত সন্দীপ ঘোষ। বাংলাদেশে বিক্রি করা হত সেসব।
সেইসঙ্গে আরও অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়া থেকে অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকার নয়ছয়, সমস্ত দুর্নীতি পরিচালিত হতো সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে। টেন্ডার পিছু ২০ শতাংশ কমিশন খাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, পছন্দের সাপ্লায়ার-ভেন্ডারদের টেন্ডার দেওয়া হতো। স্নাতক স্তরের স্কিল ল্যাব তৈরির বরাতে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, ২০২২ সালে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট স্কিল ল্যাব তৈরির জন্য, একটি সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩ কোটি টাকার চুক্তি করে আরজি কর কর্তৃপক্ষ। অথচ ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালে একই ল্যাব তৈরি করতে খরচ পড়ে মাত্র ৬১ লক্ষ টাকা।
তার আগে ২০২১ সালে কোভিডের সময় যন্ত্র কেনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ। আরজি করে খরচ ৪.৩ লাখ টাকা দেখানো হয়। ওদিকে ওই একই যন্ত্র বেসরকারি হাসপাতাল কেনে দেড় লক্ষ টাকায়। ২০২৩ সালে এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডারপিছু ২০ শতাংশ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলে একটি সংস্থা। অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্সহীন তিনটি সংস্থাকে সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দেন সন্দীপ ঘোষ। ওদিকে একটি সংস্থাকে ক্যাফেটেরিয়া চালানোর বরাত দেওয়া হয়। আরও একটি সংস্থাকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ফুড স্টল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)