নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগবাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের পাশে কলকাতা পুরসভা। রাতে এলাকার ৪ কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জানালেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firjad Hakim)। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুরসভার তরফে বস্তিবাসীদের ঘর তৈরির কাজ শুরু হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাগবাজার মহিলা কলেজ লাগোয়া হাজারহাত বস্তিতে আগুন লাগে সন্ধেবেলা। দমকলের ২৮টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তখন বস্তিটির আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এমনকী, আগুনে লেলিহার শিখার গ্রাসে চলে গিয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসটিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার পর অনেক দেরিতে এসেছে দমকল। সেই ক্ষোভে পুলিসের গাড়িতে ভাঙচুর চালান উন্মুত্ত জনতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল শোভাবাজার ও বাগবাজার এলাকায়। অফিসটাইমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরিশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এমজি রোড, এমনকী বিটি রোডে।


আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টার আগুনে নিশ্চিহ্ন বস্তি, বহু মানুষ গৃহহীন, ভষ্মীভূত সারদা মার বাড়ি সংলগ্ন অফিস


বাগবাজারের বস্তিতে যখন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা, তখন গঙ্গাসাগরে ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বেশি রাতে বাগবাজারে পৌঁছন তিনি। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, 'অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন, রাতারাতি তাঁদের সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সম্ভব নয়। তবে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করে দেবে পুরসভা। যতদিন না বাড়ি তৈরি হচ্ছে, ততদিন এলাকার ৪টি কমিউনিটি হল ও বাগবাজার মহিলা কলেজে বস্তিবাসীদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।'