২ ঘণ্টার আগুনে নিশ্চিহ্ন বস্তি, বহু মানুষ গৃহহীন, ভষ্মীভূত সারদা মার বাড়ি সংলগ্ন অফিস
ইচ্ছা করেই কি আগুন লাগানো হল বস্তিতে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: আড়াই ঘণ্টার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ। আগুন লেলিহান শিখার গ্রাসে বাগবাজারে হাজারহাত বস্তি। ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসও। Zee ২৪ ঘণ্টাকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, 'আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এবার এলাকাটি কুলিং বা ঠাণ্ডা করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। হতাহতের কোনও খবর নেই। দমকলে ২৭টি ইঞ্জিন কাজ করেছে।' মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঙ্গাসাগর থেকে ইতিমধ্যেই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য় রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গিরিশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এমজি রোড, এমনকী বিটি রোডে যান চলাচল এখনও স্বাভাবিক নয়।
বাগবাজার মহিলা কলেজ লাগোয়া হাজারহাত বস্তিতে আগুন লাগে সন্ধেবেলা। খবর পেয়ে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন। কিন্তু উত্তর কলকাতার সরু রাস্তা, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে একাধিক সিলিন্ডারে। ফলে আতঙ্ক যেমন বাড়ে, তেমনি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয়। বস্তির সীমানা ছাড়িয়ে আগুন ছডিয়ে পড়ে আশেপাশের বহুতলগুলিতেও। এমনকী, ভষ্মীভূত হয়ে যায় সারদা মায়ের বাড়ি লাগোয়া অফিসটি। শেষপর্যন্ত আশেপাশের বাড়িগুলি খালি করে গঙ্গা থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য় দাবি, খবর দেওয়ার পর অনেক দেরিতে এসেছে দমকল। সেই ক্ষোভে পুলিসে গাড়িতে ভাঙচুর চালান উন্মুত্ত জনতা।
আরও পড়ুন: আপাতত স্মার্টকার্ডেই যাত্রা মেট্রোয়, সোমবার থেকে উঠে যাচ্ছে ই-পাস
জানা গিয়েছে, আগুন লাগার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বস্তি থেকে বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। তাই কেউ হতাহত হননি। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মী আহত হয়েছেন। কীভাবে এমন আগুন লাগল? বস্তিবাসীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মঠের এক সন্ন্যাসীর দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী।