নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুর নিগমের প্রশাসক বোর্ডকে 'কেয়ারটেকার বোর্ড' হিসেবে চিহ্নিত করল কলকাতা হাইকোর্ট। তাদের এক মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ দিল আদালত। এদিন সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে বসে আদালত। সন্ধের পর এভাবে মামলা শোনার ঘটনা এককথায় নজিরবিহীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ধ্যা ৭টার পর শুনানি শুরু হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন আইনজীবীরা। কিন্তু শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে কেউ যোগ দেননি। শেষে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানান 'কেয়ারটেকার বোর্ড' হিসেবে কাজ করবে প্রশাসক বোর্ড। এক মাসের জন্য আপাতত কাজ করবে তারা। 


বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, গোটা বিশ্বে করোনা বিপর্যয়ের কারণে লক ডাউন পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা যাতে জরুরি কাজ চালিয়ে যেতে পারে সে কারণেই এক মাসের জন্য কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মামলার এখনই নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এক মাস পর ফের মামলাটি শোনা হবে। কলকাতা পুরসভার এলাকার অন্তর্গত অরবিন্দ সরণির বাসিন্দা শরৎ কুমার সিং নামে এক ব্যক্তি বুধবার রাজ্য সরকারের কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এদিন বিকালের পর সেই মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে শোনা হয়। 


উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে এই প্রথমবার প্রশাসক বসতে চলেছেন। বলে রাখি, কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী, প্রশাসক বসানো যায় না। প্রশাসক বসাতে গেলে অর্ডিন্যান্স এনে আইন সংশোধন করে তারপর বসাতে হত। কিন্তু এখন করোনায় লকডাউনের জেরে বিধানসভার অধিবেশন বসার প্রশ্ন নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবিধানের ৬৩৪ ধারা উল্লেখ করে রিমুভ্যাল অফ ডিফিকাল্টিস অ্যাক্ট-এ প্রশাসক বসানোর কথা ঘোষণা করে রাজ্য। 


বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৪ সদস্যের প্রশাসক বোর্ড ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ফিরহাদ হাকিমকে মাথায় রেখেই সেই প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিন এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। বলে রাখি, কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ।


আরও পড়ুন, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯২, মোট মৃত ৭৯, সুস্থের হার ১৯.১২ শতাংশ