অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'কোন অসাধুর দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই বাড়াবাড়ি করেছে'? গণধর্ষণ মামলায় কলকাতা পুলিসের ভূমিকায় বিস্মিত হাইকোর্ট। নির্যাতিতার কাছে নরেন্দ্রপুর ও লেক ওসি-কে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে প্রতীকী ক্ষতিপূরণও!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bangla Divas: 'রাজ্যপাল সই না করলেও কিছু যায় আসে না', ১ বৈশাখ-ই বাংলা দিবস, পাস বিধানসভায়!


ঘটনাটি ঠিক কী? দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গণধর্ষণ মামলার তদন্ত করছে কলকাতা লেক থানার পুলিস। ২৯ জুন লেক থানা থেকে মেল পাঠানো হয় নরেন্দ্রপুর থানা। জানানো হয়, ৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজিরা দিতে হবে নির্যাতিতাকে। কখন? দুপুর ১২টা।


এদিকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এই হাজিরার বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি নির্যাতিতা! এরপর গভীর রাতে হঠাৎ-ই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিস। স্রেফ হোয়াটসঅ্য়াপ করাই নয়, রাত ২ নাগাদ নির্যাতিতার বাড়ি যান দুই পুলিস আধিকারিক। হাইকোর্টে এদিন মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য় বাগচির এজলাসে।


আদালতের পর্যবেক্ষণ,'হলফনামায় কম্পিউটার অপারেটরের ওপর দোষ চাপিয়ে দায় সেরেছেন নরেন্দ্রপুর থানার ওসি। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন কম্পিউটার অপারেটর ইমেল খেয়াল করেননি। লেক থানার ভূমিকায় আমরা বিস্মিত। নির্যাতিতার ফোন নম্বর থাকা সত্ত্বেও কেন ঘুরপথে ইমেল করে নরেন্দ্রপুর থানাকে জানানো হল সেটা আদালতের বোধগম্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন নির্দেশে মাঝরাতে পুলিশ সক্রিয়তার বিরুদ্ধে মতপোষণ করেছে।
তদন্ত বা ন্যায়বিচারের স্বার্থে গণধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশ যাচ্ছে এমন মামলা আমরা কোনদিন দেখেনি। পুলিসের দায়িত্বএই ধরনের নির্যাতিতাকে নিরাপত্তা দেওয়া'।


বিচারপতির জয়মাল্য বাগচির প্রশ্ন, 'কোন  অসাধুর দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই বাড়াবাড়ি করেছে পুলিশ'? নরেন্দ্রপুর ও লেক থানার ওসি-কে ৭ দিনে মধ্যের নির্যাতিতার কাছে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: BIG BREAKING: রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বাড়ল একলাফে ৪০ হাজার!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)