অর্ণবাংশু নিয়োগী:  '২৩ হাজার কর্মীর বকেয়া DA-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে হবে'। রাজ্যের ২ বিদ্যুৎ সংস্থাকে ২৩ জুন পর্যন্ত সময় দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বললেন, 'প্রথম ধাপের টাকা না দিলে, কর্তাদের বেতন বন্ধের কথা ভাববে কোর্ট'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার প্রথম নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের সিঙ্গল বেঞ্চই। কিন্তু তখন সেই নির্দেশ মানতে রাজি ছিল না কর্তৃপক্ষ। উল্টে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রথমে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, তারপর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু দুটি মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখেন বিচারপতি। এমনকী, মামলাটি ফের হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরে আসে।


হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে যখন দ্বিতীয়বার মামলাটির শুনানি হয়, তখন ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এদিন আদালত আবমাননা মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুনানিতে বিদ্যুৎ সংস্থার আইনজীবী বলেন, 'একবারে বকেয়া মেটাতে গেলে সংস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। ৩৬ কিস্তিতে বেতন মেটানো যাবে'। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বলেন, আপনি কি দর কষাকষি করছেন? এটা কর্মীদের প্রাপ্য। ৫ কিস্তির বেশি নয়। প্রথম ধাপের টাকা না দিলে, কর্তাদের বেতন বন্ধের কথা ভাববে কোর্ট'।



এদিকে ডিএ মামলা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। স্যাটের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় হারে ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের স্পষ্ট কথা, "ডিএ বা মহার্ঘভাতা আইনি অধিকার, মৌলিক অধিকার।"