অর্ণবাংশু নিয়োগী: ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনশোরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক পদে এবার নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কীভাবে? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে পর্ষদকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টেট তখনও চালু হয়নি। এ রাজ্যে ক্ষমতায় বামেরা। ২০০৯ সালে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর যথারীতি নিয়োগের পরীক্ষাও হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু ততদিনে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ঢাকি কাঠি পড়েছে গিয়েছে! চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ জেলায় নিয়োগ হলেও বঞ্চিত থেকে যায় ৫ জেলা। দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর। 


২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। প্রাথমিকে যে পাঁচ জেলায় নিয়োগ বাকি ছিল, সেই পাঁচ জেলায় ফের পরীক্ষা হয় তৃণমূল জমানায়। এমনকী,  চাকরিও পেয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরীক্ষার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কেন বাদ পড়ল? চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পর্ষদকে বারবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর ৩৭ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলে ধর্মতলায়, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।


আরও পড়ুন: SSC Scam: নবম-দশমে কয়েকশো শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ, এবার গুরুত্বপূর্ণ রায় ডিভিশন বেঞ্চের


জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকে ১৮৩৪টি শূন্য়পদে নিয়োগের জন্য় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেধাতালিকায় নাম ছিল   ১৫০৬ জনের! অভিযোগ, বাকি ৩২৮টি শূন্য় পদে নিয়োগ হয়নি। এদিন হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে এজলাসে। স্রেফ শূন্য়পদ পূরণ করা নয়, ৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ আরও ৯২ জনকে নিয়োগেরও নির্দেশ দেন তিনি।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)