নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ। হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। 'পুলিস কি তদন্ত করছে'?  ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেল। ২০২০-র সালের মে মাসে রাজ্যে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় আমফান। স্রেফ জেলাগুলিতেই নয়, ঝড়ের দাপটে কলকাতায়ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোনও অংশে কম ছিল না। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে ২ নম্বর ব্লকে পাঁচটি লরিতে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু গ্রামবাসীদের কোনও উপকার হয়নি। উল্টে রাজ্য সরকারের পাঠানো ত্রাণ স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: দেখা করেননি শিক্ষামন্ত্রী, বিকাশভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৫ শিক্ষিকার


সম্প্রতি মালতিপুর স্টেশন থেকে ত্রাণ সামগ্রী বোঝাই দুটি লরি আটক করেছে পুলিস। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাও রুজু করা হয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। অন্তত তেমনই দাবি গ্রামবাসীদের। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। সেই মামলার প্রক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল আদালত। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের প্রশ্ন, 'কীভাবে এমন ঘটল ঘটনা? পুলিস কি তদন্ত করছে'?


আরও পড়ুন: PAC চেয়ারম্যান কি বিরোধী বিধায়কই হন? স্পিকারের কাছে ফের হলফনামা চাইল হাইকোর্ট


আমফানের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে আকাশ পথে ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই টাকা গেল কোথায়? ত্রাণ বন্টনে রাজ্যের সর্বত্রই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দুর্নীতির ভূরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতির চাপে পড়ে পদক্ষেপ করতে কার্যত বাধ্য হয় সরকার। শোকজ  কিংবা বহিষ্কার করা হয় শ'খানেক তৃণমূল নেতা-পঞ্চায়েত-প্রধানকে। ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত করে  CAG-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)