KMC Election: ভোটের পর শুনানি! বাহিনী মামলার নিষ্পত্তি হল না হাইকোর্টে
ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্নের মুখে কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে আর মাত্র একদিন। শেষবেলায় কলকাতায় যখন পুরভোটের প্রচারে ঝড় ওঠেছে, তখন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) কিন্তু বাহিনী মামলার নিষ্পত্তি হল না। বরং ডিভিশন বেঞ্চে শুনানিতে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন (WB Election Commission)। আজ, শুক্রবার রাতে অথবা আগামিকাল, শনিবার নির্দেশনামা আপলোড করা হবে ওয়েবসাইটে। ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। কলকাতায় পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের দাবি তুলেছে বিজেপি। গতকাল, বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতের মতে, 'বিজেপির যে চারজন প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগের পরে পুলিস যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য একজন করে সশস্ত্র পুলিস মতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য কোর্টে পেশ করেছে তাতে আদালত মনে করছে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই'।
আরও পড়ুন: KMC Election: পাশে মেয়েকে নিয়ে ছৌ-এর ছন্দে শেষবেলার প্রচারে Firhad
তাহলে? হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে বাহিনী-রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে বিজেপি। এদিন মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানিতে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হল, সাম্প্রতিক অশান্তি প্রেক্ষিতে ভোটারদের মনোবল বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এলাকা কি রুটমার্চ হচ্ছে? যেখানে ওয়ার্ড বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি, সেখানে পুলিস কম কেন? কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর মেলেনি। এরপর আসরে নামে রাজ্য সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলের সওয়াল, 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে মানে এই নয় যে, রাজ্য পুলিসকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীই লাগবে'।
আরও পড়ুন: WB Primary Education: মমতা সরকারের মুকুটে নয়া পালক, দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম বঙ্গ
হাইকোর্টে শুনানির শেষ পর্বে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা জানতে চান, 'পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। তাহলে কি কমিশন রাজি'? কমিশনের তরফে জানানো হয়, 'রাজ্য পুলিস নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই'। কিন্তু কমিশনে চাইলে কেন্দ্র কি বাহিনী দিতে পারবে? শুনানিতে সেই প্রশ্নও ওঠে। কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতে জানান, 'আমরা একটা নম্বর দিয়ে দেব। প্রয়োজন হলে বাহিনী নিতে পারে। কমিশন চাইলে, আমরা কাল সকালের মধ্যে বাহিনী পাঠিয়ে দেব। কমিশন যেভাবে বলবে. আমরা সেভাবে কাজ করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করব না'।
এদিকে কলকাতা পুরভোটে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির আর্জিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন গৌতম ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ২০১৫-র পুরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছিল। সেকারণে এবার বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হোক।