অর্ণবাংশু নিয়োগী: এবার মামলা গড়াল আদালতে। 'বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকে? কেন্দ্রের কাছে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যের অ্যাকশন রিপোর্ট হয় গ্রহণ করুন না হলে বাতিল করুন। কিছু একটা তো করতে হবে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশোর দিনের প্রকল্পে বকেয়া টাকা রাখার অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এক-দু'বার নয়, লাগাতার। বস্তুত,  স্রেফ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা বা সাক্ষাত নয়, কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকার দাবিতে কলকাতায় ধরনায়ও বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু লাভ হয়নি।


এদিকে ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতি। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেন, কাজ করার একটি নির্দিষ্ট সময় পরে প্রাপ্য টাকা জবকার্ড হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: School Fee: 'শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না', ফি বৃদ্ধিতে কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের


এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, একশোর দিনের কাজ প্রকল্পে  ২০২২ ও ২০২৩ অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রাপ্য টাকা দেয়নি কেন্দ্র। কেন? কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। 


চুপ করে থাকেননি কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। আদালতে বাংলায় একশোর দিনের কাজ প্রকল্পে ভুয়ো নামে টাকা তোলার অভিযোগ করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কেন্দ্র ও রাজ্যকে তদন্ত করতে হবে। ন্যয্যরা যেন বঞ্চিত না হন। তদন্ত না করলে কঠোর পদক্ষেপ'।



কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'বিচারব্যবস্থা আস্থা ছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আমাদের সরকার সমস্ত তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র বলুক,দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে'। তাঁর দাবি, 'প্রমাণ হবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কোনও কারণ নেই। বাংলার মানুষের ন্যয্য পাওনা আটকে রেখেছে, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে, যদি সেরকম তথ্য দেয়'।



বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এতে কার জয়, কার পরাজয়। যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপিত হচ্ছে,সেটা আমি বুঝতে পারছি না। কেন্দ্র বারবার বলেছে, টাকা নাও, হিসেব দাও। রাজ্য সরকারের হিসেবের কোনও স্বচ্ছতা নেই। মানুষের টাকা মানুষের কাছে ফেরার মাঝে অন্তরায় তৃণমূলের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও লুঠ। কেন্দ্রকে নোটিশ দিয়েছে। জানাতে বলেছে ১০ দিনের মধ্যে। অবশ্যই কেন্দ্র জানাবে। অবশ্যই তদন্ত হবে'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)