জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: জটিলতা না কাটলেও বরফ কিছুটা গলল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভ। আর তার জেরেই অবস্থানে নার্সরা। ঘেরাও অধ্যক্ষ। ব্যহত পরিষেবা। চরমে উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের কোলাপসিবল গেটের তালা পর্যন্ত ভাঙলেন রোগীর পরিজনেরা। সবমিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ওদিকে এই গন্ডগোলের জেরে মেডিক্যাল কলেজের অব্যবস্থা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওপিডি ও জরুরি বিভাগে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে। ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে সেন্ট্রাল ল্যাব। চালু হয়েছে প্যাথোলজি বিভাগও। তবে এক্স-রে ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ এখনও বন্ধ। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের ওষুধ পৌঁছচ্ছে না। আটকে রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক কাজ। স্থগিত রয়েছে একাধিক অস্ত্রোপচার। গন্ডগোলের জেরে আটকে পড়ে বিভিন্ন পরীক্ষা। আড়াই বছরের একটি মেয়ের রক্তপরীক্ষা পর্যন্ত আটকে যায়। সবমিলিয়ে তুমুল অব্যবস্থা। সেই জটিলতা সবটা কেটে গিয়েছে, এখনই তা বলা যায় না। তবে বরফ কিছুটা গলেছে। বৈঠক শুরু হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে। 


প্রসঙ্গত, ছাত্র সংসদের ভোট ঘোষণা করেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ৩টে থেকে মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের ঘরের সামনে অবস্থান শুরু করে। যারফলে সোমবার বিকেল থেকে আটকে পড়েন অধ্যক্ষ সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা। টানা ঘেরাওয়ের জেরে চরম সমস্যায় পড়েন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান থেকে প্রশাসনিক কর্তারা। ঘেরাও হয়ে থাকা নার্সিং সুপারের মুক্তির দাবিতে পালটা আবার অবস্থানে বসে পড়েন নার্সিং স্টাফরা। যার কিছু পরই পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রোগীর পরিজনরা। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।


আরও পড়ুন, বাংলার প্রথম বন্দে ভারতের চাকা গড়াবে খুব শিগগিরই, হাই-স্পিড এই ট্রেনের রুট কী হবে?


'অভিষেক যেখানে দাঁড়ায়, শুভেন্দুর লাইন সেখান থেকেই শুরু হয়...'


মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছিল। কিন্তু সোমবার নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যক্ষের অফিসে বৈঠকের কথা ছিল। সেইমতো তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে যান। কিন্তপ সেখানে গেলে অধ্যক্ষের অফিস থেকে জানানো হয় যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। একইসঙ্গে মৌখিকভাবে অন্য ডাক্তারি পড়ুয়াদের তা জানিয়ে দেওয়ার জন্যও বলা হয়। আর সেখানেই আপত্তি তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। নির্বাচন নিয়ে নিশ্চিত বার্তা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)