বেড সংখ্যা ১০০০, অত্যাধুনিক পরিষেবা, পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ কোভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিকেল
পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সব মিলিয়ে সব চিকিৎসককেই করোনাভাইরাস সংক্রমণে সংক্রামিতদের চিকিৎসা করতে হবে, এমন নির্দেশ-ই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মল মাজি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বেড সংখ্যা মোট ১০০০। CCU-HDU-ICU-ভেন্টিলেশন মিলিয়ে বেড আছে ২০০টি! পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ কোভিড হাসপাতাল হতে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ। আর সেই লক্ষ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে প্রস্তুতি।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রাজ্যের ৬৮তম কোভিড হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার এমনই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই একেবারে সাজো সাজো রব কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ম্যারাথন বৈঠক, সেমিনার। চিকিৎসক বিভাগীয় প্রধান, ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ, পিজিটি চিকিৎসকদের নিয়ে চলে আলোচনাচক্র। নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নিয়ে চিকিৎসা করছেন এমন চিকিৎসকদের এনে কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা হবে? কী কী করা উচিত? কী কী করা উচিত নয়? তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে সেমিনার-কর্মশালা।
কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল?
অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায় জানান,
"নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহ হলেই তাঁদের প্রথমে ভর্তি করা হবে গ্রিন বিল্ডিংয়ে। পরীক্ষার পর যদি রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলে অর্থাৎ রিপোর্ট যদি পজেটিভ হয়, তাহলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে। সেখানে থাকছে CCU, ভেন্টিলেশন ICU-র ব্যবস্থা।
মেডিকেল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি জানান,
"সুপার স্পেশালিটি ব্লকে দুটি তলায় অত্যাধুনিক মানের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই দুটি ফ্লোরের সমস্ত বেডে থাকছে হেপা ফিল্টার্স এবং নেগেটিভ প্রেসার ব্যবস্থা। এছাড়া গ্রিন বিল্ডিংয়ে রয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। যদি কারও করোনা সংক্রমণের পর তাঁর হার্ট-কার্ডিওলজি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা যায়, তাহলে তাঁকে ডেভিড হেয়ার ব্লকের কার্ডিওথোরাসিক বিভাগ চিকিৎসা করা হবে। সেখানেও রয়েছে CCU। এখানেই শেষ নয়। প্রয়োজনে মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের HDU বেড ব্যবহার করা হবে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায়।"
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় সব চিকিৎসক
এদিন সমস্ত বিভাগের ফ্যাকাল্টিদের সেমিনারে ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নির্মল মাজি। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারাও। উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন অর্থাৎ ডিএমই-ও। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সব মিলিয়ে সব চিকিৎসককেই করোনাভাইরাস সংক্রমণে সংক্রামিতদের চিকিৎসা করতে হবে, এমন নির্দেশ-ই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মল মাজি।
আরও পড়ুন, ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল, ৪ জায়গায় ঘুরে করোনায় 'বিনা চিকিৎসায়' মৃত্যু কনস্টেবলের