R G Kar Incident: নারী নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা পুলিস কমিশনারের...
R G Kar Doctor Death: আরজি করে ঘটনার জেরে মহিলা নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা পুলিস কমিশনারের। হাসপাতাল, স্কুল, মেডিকেল কলেজ, হস্টেলে নারী নিরাপত্তায় বাড়তি নজর। মহিলা নিরাপত্তায় পুলিসকে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
পিয়ালি মিত্র: আরজি করে ঘটনার জেরে মহিলা নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা পুলিস কমিশনারের। হাসপাতাল, স্কুল, মেডিকেল কলেজ, হস্টেলে নারী নিরাপত্তায় বাড়তি নজর। মহিলা নিরাপত্তায় পুলিসকে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ডাক্তার খুনে গ্রেফতার হয়েছে কলকাতা পুলিসেরই এক সিভিক ভলান্টিয়ার। এই প্রসঙ্গে কমিশনের বার্তা, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ কোনো পুলিসকর্মী আইন ভাঙলে কোনো মতেই তা বরদাস্ত করা হবে না। তাদের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কলকাতা পুলিস কমিশনারের।
শহরের পুলিসবাহিনীর উদ্দেশ্যে কমিশনারের মন্তব্য, আরজি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক এবং অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মহিলাদের সুরক্ষার প্রতি অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া দরকার। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জিরো টলারেন্সের নীতি নিতে হবে!
ঘটনার জেরে বাহিনীর উদ্দেশে ১৫ দফা নির্দেশও দিয়েছেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। কী সেগুলি? আসুন দেখে নেওয়া যাক:
১. নারীর বিরুদ্ধে অপরাধপ্রবণ, এমন এলাকা চিহ্নিত করতে হবে
২. নারীনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
৩. সরকারি হাসপাতাল, বাড়ি, মহিলা হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রিভিউ করতে হবে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
৪. এলাকায় পুলিসের উপস্থিতি বাড়াতে হবে
৫.পুলিসের নিজস্ব লোকজনের উপরও নজরদারির প্রয়োজন। পুলিস শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর অংশ। মানুষ সাহায্যের জন্য পুলিসের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের কখনোই আইনের বিরুদ্ধ আচরণ করা উচিত নয়। এটা অবশ্যই সবার কাছে পরিষ্কার হতে হবে
৬. সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রামীণ পুলিস-সহ বাহিনীর কোনও পুলিসকর্মী আইন ভাঙলে তাঁর প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। সকলকে অবশ্যই এই বিষয়ে বারবার অবহিত করতে হবে। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন এবং/অথবা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিন।
৭. প্রয়োজনীয় সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ
৮. স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে সংবেদনশীল এলাকায় তাঁদের সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে উৎসাহিত করতে হবে
৯. নারী সুরক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জনসাধারণের সঙ্গে পুলিসের যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে
১০. মহিলাদের নিরাপত্তা প্রভাবিত হতে পারে, এমন সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে পুলিসকে মহিলা ডাক্তার, কলেজছাত্রী, স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ করতে হবে। এজন্য মহিলা পুলিসদের কাজে লাগানোর পরামর্শ
১১. কলেজ, হাসপাতাল, হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মহিলা পুলিস টিমকে নিয়মিত পরিদর্শনে কাজে লাগানো।
১২. হাসপাতালের OP-র সমস্ত অফিসার ইনচার্জ এবং অন্যান্য সমস্ত ভারপ্রাপ্তরা মহিলাদের নিরাপত্তা বিষয়টি (সমস্ত HG, NVF, সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রামীণ পুলিস-সহ) সমস্ত অধস্তনদের পর্যাপ্তভাবে ব্রিফ করার নির্দেশ
১৩. জনসাধারণের সঙ্গে বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্কদের প্রতি সংবেদনশীল ব্যবহার রাখা
১৪. ডাক্তার, নার্স এবং সরকারি হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়াতে হবে, তাঁদের বোঝাতে হবে, পুলিস তাঁদের সাহায্য করার জন্য সর্বদা রয়েছে। তাঁদের নিজেদের নিরাপত্তাহীন বোধ করার কোনও কারণ নেই
১৫. মেডিকেল কলেজ/হাসপাতালের ইনচার্জদের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তার দিকটি পর্যালোচনা করতে হবে। কোথাও কোনো পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে মনে হলে প্রয়োজনীয় বব্যবস্থা নিতে হবে। দরকার হলে মোবাইল টহলদারি, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে।
মেডিকেল কলেজ /হাসপাতালে মহিলাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হেল্পলাইন নম্বর (100 ডায়াল), ইমেল অ্যাড্রেস, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করার পরামর্শ। যাতে তাঁরা তাঁদের সমস্যাগুলি বিনা দ্বিধায় শেয়ার করতে পারেন!