ওয়েব ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কেমোথেরাপির জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিল সরকারি হাসপাতাল। খেয়ালই করলেন না ডাক্তার বা নার্সরা। বিষয়টি রোগীর পরিবারের সদস্যদের চোখে পড়ায় বড় ধরনের বিপত্তি এড়ানো গেল। গাফিলতির এই অভিযোগ চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের বিরুদ্ধে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত শোভারানি মণ্ডলের কেমোথেরাপি চলছে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে।


গতকাল তাঁকে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের স্টোর থেকে লিউকোভোরিন ইঞ্জেকশন আনা হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেই ইঞ্জেকশনগুলির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসেই।   প্রমাণ হিসেবে লিউকোভোরিনের তিনটি বাক্সও দেখাচ্ছেন শোভারানির পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন নার্সরা। সাধারণত কোনও চিকিত্‍সকের তত্ত্বাবধানেই কেমো দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল শোভারানি মণ্ডলকে কেমো দেওয়ার সময় কোনও চিকিত্‍সক ছিলেন না। ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা দুই নার্সের নির্দেশে দুজন স্টাফ নার্স স্টোর থেকে কেমোর ওষুধ নিয়ে আসেন। স্টাফ নার্সরা হাসপাতালের কর্মী নন। অভিযোগ সামনে আসার পর ওই দুই নার্স এবং স্টাফ নার্সকে আপাতত কোনও কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।