শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ব্যবধান দিন ছয়েক। স্রেফ নয়া চেয়ারম্যান নিয়োগ নয়, ঢেলে সাজানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। পর্ষদের ওয়েবসাইটে এবার সরাসরি বেনিয়মে অভিযোগ জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ওয়েবসাইটেই।  আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে এই ব্যবস্থা। সূত্রের খবর তেমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও 'দুর্নীতি'। ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। সেই তালিকায় যে  ২৬৯ জনের নাম ছিল, তাঁরা কীভাবে চাকরি পেলেন? সিবিআইয়ের তদন্তে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এবার হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে।


আরও পড়ুন: Swasthya Sathi: দুর্নীতি ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নিয়মে এবার বড়সড় রদবদল


স্রেফ হাইকোর্টের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে গৌতম পালকে নিয়োগ করেছে রাজ্য। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য তিনি। এমনকী, পর্ষদের কাজে স্বচ্ছতা আনতে ১১ সদস্য়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারা থাকছে সেই কমিটিতে? সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি-সহ আরও বেশ কয়েকজন অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। এক বছরের মেয়াদে কমিটির সদস্য থাকবে তাঁরা।


দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি গৌতম পাল ঘোষণা করেছেন, 'এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ে টেট হবে। মেরিট লিস্ট বেরোবে'। বলেছেন, 'আমি কথা দিচ্ছি, কোনও অভিযোগ থাকবে না'। কিন্তু যদি অভিযোগ থাকে? সেক্ষেত্রে পর্ষদে ওয়েবসাইটে জানাতে পারবেন কর্মপ্রার্থীরা। এর আগে, এমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে তুলে আদালতে চলে যাচ্ছিলেন কর্মপ্রার্থীরা। এবার  পর্ষদকে প্রথমে অভিযোগ জানানো হবে।



এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি, সেদিন মানিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর ২৬ জুলাই সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা হয় পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। এখন কোথায় তিনি? ইডি সূত্রে খবর, দুটি মোবাইলই বন্ধ। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকী, অগস্টে দু'বার নোটিশ পাঠানো হলেও, হাজিরা দেননি তিনি।  এবার কী করা হবে? হাইকোর্টে গিয়ে যে আইনি পরামর্শ নেন ইডির আধিকারিকরা, সেদিনই 'হারানো' মানিককে খুঁজে বের করে জি ২৪ ঘণ্টা। শুধু ফোনে কথা নয়, ভিডিয়ো কলেও দেখা দিয়েছেন তিনি। কোথায় রয়েছেন? যাদবপুরের বাড়িতে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)