নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, কমিশনের আইনকেই চ্যালেঞ্জ!
এই আইনের বলেই ৬১৮ জন কর্মরত শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে কমিশন। এই ১৭ নম্বর ধারায় কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয়েছে মামলা। যেখানে ১৭ নম্বর ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই আইনের বলেই ৬১৮ জন কর্মরত শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে কমিশন। এই ১৭ নম্বর ধারায় কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। আবেদনকারী বা কমিশনের দ্বারা সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তাহলে যে কোনও সময় সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন। ১৭ নম্বর ধারায় এই ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। এই মামলায় রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহ সব পক্ষকেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ২০১১ সালের টেট প্রার্থীদের ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে এদিন চরম ভর্ৎসনা করেছে আদালত। ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী শুক্রবার নতুন রিপোর্ট নিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এসএসসি চেয়ারম্যান-কে।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি এদিন বলেন, 'আপনারা কোর্টের সঙ্গে খেলছেন। এসএসসি নিয়োগ করছে, অথচ তারাই ভুল প্রশ্ন করছে। সব পরিকল্পিত। আমার বলতে দ্বিধা নেই, এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে। আপনাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। আপনারা ভেবেছেন কি? জনমানসে আপনাদের আচরণে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে! প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আমি সব নিয়োগে সন্দেহ করছি। আমাকে বাধ্য করবেন না আরও কড়া পদক্ষেপ করতে! নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু আজও দেখছি সেই একই পথে হাঁটছে এসএসসি।'
আরও পড়ুন, চাকরি বাতিলের তালিকায় মন্ত্রী শিউলি সাহার ঘনিষ্ঠরা!