বিক্রম দাস : শ্রীকান্ত মোহতা গ্রেফতার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতারের দিন কুড়ি আগে থেকেই মোহতাকে পাকড়াও করার প্ল্যান সাজানো হয়েছিল। সকালের মর্নিং ওয়াক থেকে রাতে বাড়ি ফেরা সবটাই থাকত গোয়েন্দাদের রাডারে। SVF কর্ণধারের গতিবিধিও নজরে রাখতে শুরু করে সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনা টের পেতেই পাল্টা ফন্দি আঁটেন ভেঙ্কটেশ কর্ণধার। কোনও জায়গায় বেরোলে রাস্তাতেই একাধিক গাড়ি বদল করতেন শ্রীকান্ত মোহতা। শুধু তাই নয়, গাড়িতে ওড়িশার নম্বর প্লেট লাগিয়েও গোয়েন্দাদের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রযোজক। কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তা যাতে বোঝা না যায়, তারজন্যেই এই ধরণের কৌশল নেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের।


রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত এসভিএফ কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে  ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ভুরনেশ্বরের আদালত।  বৃহস্পতিবার কসবায় এসভিএফ-এর অফিস থেকেই শ্রীকান্ত মোহতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাতভর জেরার পর শুক্রবার দুপুরে এসভিএফ কর্ণধারকে নিয়ে ভুবনেশ্বর উড়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা।


উল্লেখ্য, ভুবনেশ্বর আদালতে শুনানির সময় ধৃত শ্রীকান্ত মোহতাকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। বদলে জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয় সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, স্বাস্থ্যের কারণেই ধৃত শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে সিবিআই হেফাজত চাওয়া হয়নি।


অন্যদিকে, আদালতে তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন করেন শ্রীকান্ত মোহতার আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, এসভিএফ-এর সব লেনদেন স্বচ্ছ। কোনও তথ্য প্রমাণ নেই সিবিআই-এর হাতে। আদালতে কোনও তথ্য প্রমাণ-ই পেশ করতে পারেনি সিবিআই। যা খারিজ করে দিয়ে পাল্টা যুক্তি দেয় সিবিআই।


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আদালতে পাল্টা দাবি করা হয়, শ্রীকান্ত মোহতার কেস ডায়রিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। মামলার সেইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্য আদালতে  বলা সম্ভব নয়। ডায়রি খতিয়ে দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি করেন সিবিআই আইনজীবী।


আরও পড়ুন, বিরিয়ানির দাম না মেটানোয় খদ্দেরের জামা-প্যান্ট খুলে নিল দোকানদার!


প্রসঙ্গত, এসভিএফ কর্তা শ্রীকান্ত মোহতার বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড কোম্পানিরও ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি সদর্থক ভূমিকা নেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, চিটফান্ড ব্যানিং অ্যাক্ট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।