পিয়ালি মিত্র: দীপাবলির পর ফের সক্রিয় সিবিআই। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তণ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এছাড়াও সিবিআইয়ের অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসপি সিনহাও। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অন্য একটি মামলায় এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৬ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার তদন্ত মঙ্গলবার ওই ১২ জনের নামে চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আজ আলিপুর আদালতে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়। এসএসসি-র কয়েকজন কর্তা ছাড়াও সিবিআইয়ের চার্জশিটে রয়েছে কয়েকজন এজেন্টও। দুর্নীতি-সহ একাধিক ধারায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী, অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত


পুজোর ছুটির আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি মধ্যশিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিজাম প্যালেসে ডেকে টানা ৬ ঘণ্টা জেরা করা হয় কল্যাণময়কে। জেরায় সিবিআইয়ের বহু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কল্যাণময়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যোগসাজসের প্রমাণও মেলে কল্যাণময়ের কথায়।


কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার চার্জশিট নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, এটি তদন্তেরই অংশ। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের দল জানিয়ে দিয়েছে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। গুজরাটের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও তাকে মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়া হয়। আমাদের এখানে সরকার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি তদন্তসংস্থায় নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন থাকবেই। আমরা দেখছি সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকা পরও বিজেপি নেতারা রেহাই পেয়ে যান। এরকম হলে তদন্তসংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। 


অন্যদিকে, ওই চার্জশিট নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে, কোথায় মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, কোথাও স্কুল টিচারের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে ওইসব টাকা কোথা থেকে এসেছে? এসব প্রশ্ন করা উচিত। মানুষকে বোঝানোর কোনও কারণ নেই। তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, সাড়ে ৩ লক্ষ শূন্য পদে কবে নিয়োগ হবে? 
  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)