পিয়ালি মিত্র: মদন মিত্রের দুটি জায়গার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। দক্ষিণশ্বরে তাঁর অফিসেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি তাঁর ভবানীপুরের বাড়িতে ছিল সিবিআই। সিবিআই যাওয়ার পর সংবাদমাধ্য়মের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মদন বলেন,দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে গঙ্গায় ঝাঁপ দেব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই; 'অভিষেক নাকি খুশিই হয়েছেন', বিস্ফোরক সুকান্ত


সিবিআইয়ের জেরা সামাল দেওয়ার পর মদন মিত্র বলেন, সিবিআই আমার বাড়িতে এসেছে। আমার বাড়িটা এখন আমার পেছনে। আর মা দূর্গার মঞ্চটা আমার সামনে। অর্থাত্ মা আসছেন। মা দূর্গার আসাটা সিবিআই-ইডি ঠেকাতে পারবে না। ওঁরা এসেছে। যা জানতে চেয়েছেন তা বলেছি। এখন শুনছি ওঁরা দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও গিয়েছেন। পুরসভার যখন চাকরি হয়েছে তখন তখন আমি বিধায়ক ছিলাম না। আমি তখন হেফাজতে ছিলাম। বিধায়ক না হয়ে, হেফাজতে থেকে কেউ কীভাবে গোটা ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। জেলখানা থেকে কেউ এসব দুর্নীতি করতে পারে! এত তার ক্ষমতা! একজন বিধায়কের অফিসে তিনি থাকুক বা না থাকুক তাঁর কাছে কেইউ যদি আসে তাহলে তিনি যাতে সাহায্য পান তার জন্যই অফিস। কেউ যদি অফিসে কোনও আবেদন নিয়ে আসেন তাহলে আমরা তাঁকে ডান্ডা মেরে তাড়াতে পারি না। ফলে টেট হোক বা গ্রুপ ডি হোক অথবা কেউ কোনও চাকরির আবেদন নিয়ে আসলে আমরা তাকে ডান্ডা মেরে তাড়াতে পারি না। ফলে আমি না থাকার সময়ে বিভিন্ন আবেদন জমা পড়েছে। তাই হাজার হাজার চাকরির আবেদন জমা পড়েছে মানে হাজার হাজার চাকরি হয়েছে কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেইসব চাকরিতে আমার কোনও হাত রয়েছে কিনা সেটা প্রণাম সাপেক্ষ বিষয়। ধরে নিন আমার অফিসে ১ হাজার অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেল। তার মধ্যে একজন চাকরি পেয়েছে। সেই একজন টাকা দিয়ে বা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে কিনা তা নিয়ে তাকে জেরা করা হোক। আমি তো অনেককে জানি যারা আমাকে বলেছিল স্যার একটু দেখবেন। আমি তাদের বলেছিল, আমার কোনও হাত নেই। এখান সিবিআইয়ের যেসব আধিকারিক এসেছিলেন তারা লিখে দিয়ে গিয়েছেন, কোনও কিছুই সিজ করা হয়নি। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে।


দক্ষিণেশ্বরে তল্লাশি করেছে সিবিআই। এনিয়ে মদন মিত্র বলেন, ওখানে দূর্গাপুজো হচ্ছে না। পুজোটা এখানে হবে, যেখানে মুর্তি থাকে। মূর্তি ছাড়া রথের কী দাম আছে। এখানে তো মূর্তি নিজে ছিল। আমার সঙ্গে সিবিআই কথা বলেছে। আমরা তো কখনওই বলিনি আমরা সিবিআইকে সহযোগিতা করব না।


অয়ন শীল গ্রেফতারের পর গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এনিয়ে মদন মিত্র বলেন, এখন যদি কেউ বলে অয়ন শীলের সঙ্গে মতি শীলের যোগাযোগ ছিল। তাহলে মতি শীলের বাড়িতেও রেইড হোক! আমার সঙ্গে এসব কোনও কারবার ছিল না। আমি মদন মিত্র বুকের পাটা ফুলিয়ে বলছি ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করব। কেউ যদি এক ইঞ্চি দুনীতি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমাকে ধরার দরকার পড়বে না। আমি গলায় দড়ি দিয়ে গঙ্গায় লাফ দেব। সিবিআই আমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার পর এত ক্যামেরা এসেছে। তাতে এটা আমি বুঝলাম, 'পাঠান, পাঠান, পাঠান....টাইগার মরা নেহি"। এটা অভিষেক প্রমাণ করে দিয়েছে।  সিবিআই যে আসল তাতে কি কোনও রাজনীতি রয়েছে? মদন মিত্র বলেন, পাত্রী দেখতে পাত্র পক্ষ থেকে লোক আসে। সিবিআই আমাকে ভালোবাসে। তবে এটুকু বুঝতে পারছি মোদী যা রাহা হ্যায়। ইন্ডিয়া আ রাহা হ্যায়।


 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)