নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজীব কুমারের খোঁজে চিঠি ধরাতে রবিবারই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই-এর প্রতিনিধি দল। কিন্তু গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় নবান্নে ছিলেন না মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। তাই তাঁদের চিঠি দুটো দেওয়া যায়নি। এরপর এদিন ফের নবান্নে এলেন সিবিআই-এর ২ প্রতিনিধি। এদিন সকাল ১০টা ৪০ নাগাদ নবান্নে পৌঁছন সিবিআই-এর দুই প্রতিনিধি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাকে এড়াতে এদিন গাড়িতে আসেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। তার বদলে বাইকে করে নবান্নে আসেন সিবিআই-এর দুই প্রতিনিধি সুনীল কুমার ও মেঘলাল যাদব। সংবাদমাধ্যমকে এড়াতেই বাইকে করে তাঁরা আসেন বলে জানিয়েছেন। নবান্নে এসে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের নাম দুটি চিঠি জমা দিয়ে যান তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী, রাজীব কুমার ছুটি নিয়ে থাকলে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিজের ফোন নম্বর ও ঠিকানা দিয়ে যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নবান্নের অফিসারদের কাছে রাজীব কুমারের সম্পর্কে তথ্য থাকতে বাধ্য। সেই কারণেই নবান্নের কাছে এবার তথ্য চাইল সিবিআই।



প্রসঙ্গত, শুক্রবার হাইকোর্টে রক্ষাকবচ ওঠার পর সন্ধেয় রাজীব কুমারের পার্কস্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে গিয়ে নোটিস দেন সিবিআই কর্তারা। রাজীব কুমার না থাকায় তাঁর স্ত্রীর হাতে ধরানো হয় নোটিস। বলা হয়, পরেরদিন অর্থাত্ শনিবার ১০টায় হাজিরা দিতে হবে। তবে শনিবার সিবিআইয়ের নির্ধারিত সময়ে হাজির হননি এডিজি সিআইডি। সূত্রের খবর, বিকেলে মেল করে সিবিআই-কে তিনি স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানান। ২৫ তারিখ অবধি সময় চান।


কিন্তু প্রাক্তন কলকাতা পুলিস কমিশনারকে কোনও সুযোগ দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর রবিবার বিকালেই নবান্নে গিয়ে ডিজি-কে চিঠি দেন সিবিআইয়ের দুই প্রতিনিধি। রাজীবের অবস্থান জানতে নবান্নে ৪টি চিঠি নিয়ে হাজির হন সিবিআইয়ের দুই প্রতিনিধি। তারমধ্যে ডিজিকে দুটি চিঠি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, একটি চিঠিতে জানতে  চাওয়া হয়েছে, রাজীব কুমার কোথায় আছেন? কারণ, তিনি রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তা। দ্বিতীয় চিঠিতে তাঁকে অবিলম্বে জেরার জন্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, রাজীব কুমার নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করল সিবিআই


বাকি দুটি চিঠি গতকাল দেওয়া যায়নি। সেই দুটো চিঠি দিতেই আজ সকালে নবান্নে পৌঁছে যান সিবিআই-এর প্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে বল এখন রাজ্যের কোর্টে। রাজীব ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতেই সিবিআই এই কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এদিকে, আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে শনিবার বারাসত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব কুমার। মঙ্গলবার তার শুনানি। অন্যদিকে, রাজীব কুমার নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে সিবিআই।