নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভুয়ো নয়। হাইকোর্টে পেশ করা চার্জশিটে, চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিজের (CFSL) এই রিপোর্টই সিবিআইয়ের হাতিয়ার। সূত্রের খবর, এই রিপোর্টকে অস্ত্র করেই এবার আইনি লড়াইয়ে সলতে পাকাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তৃণমূল, আগেভাগে শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিলের পথে CBI


নারদ কাণ্ডে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই চার্জশিটের সঙ্গে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিজের (CFSL) এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ২ মন্ত্রী, এক বিধায়ক ও প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারির আগে কেন বিধানসভার অধ্যক্ষকে জানানো হয়নি? কেন রাজ্যপালের নির্দেশে গ্রেফতারি? এই নিয়েও যে তরজা শুরু হয়েছে, সূত্রের খবর সোমবার হাইকোর্টে পেশ করা চার্জশিটে সেই বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর দিয়েছে সিবিআই। তাঁরা জানিয়েছে, ২০১৪ সালে নারদ স্টিং অপারেশন করা হয়, তখন ধৃতরা রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। সেজন্য গ্রেফতারির জন্য শুধুমাত্র রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রেফতারির পর অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে। ধৃতরা সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই টাকা নিয়েছিল বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।     


আরও পড়ুন: নারদা মামলায় স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি, হাইকোর্টে ৪ অভিযুক্ত


প্রসঙ্গত, নারদ স্টিং মামলায় সোমবার সকালে তৃণমূলের তিনজন হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেস আনা হয় তাঁদের। সতীর্থদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ছ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে বসে থাকেন তিনি। সোমবার দিনভর নাটকের পর নিম্ন আদালতে চারজনের জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্টে সেই জামিন খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১৯ মে, বুধবার সেই মামলার পরবর্তী শুনানি। মাঝখানে এই কদিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে চার হেভিওয়েটকে।