নিজস্ব প্রতিবেদন : নারদাকাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়। নারদাকাণ্ডে এবার লুকনো ক্যামেরার ব্যবহারকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করা হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে জানা গিয়েছে নারদা কাণ্ডে একটি লুকনো ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ম্যাথু স্যমুয়েলের আই-ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল সেই লুকনো ক্যামেরাটি। ইয়ারফোনের ইনপুট পয়েন্টে ওই লুকনো ক্যামেরাটি সংযুক্ত ছিল। নারদা স্টিং অপারেশনের সমস্ত ফুটেজ ওই লুকনো ক্যামেরার মাধ্যমেই তোলা হয়েছিল।


তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ইয়ারফোনের ইনপুট পয়েন্টে ওই লুকনো ক্যামেরাটি দিল্লির এক ব্যবসায়ী ইনস্টল করেছিলেন। যদিও সেই ব্যবসায়ী এই ধরনের কোনও লুকনো ক্যামেরা ইনস্টলেশনের কথা অস্বীকার করছেন। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই পুনরায় তলব করা হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলকে। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলকে। ওই দিন ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ম্যাথু স্যামুয়েলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন, মাদকাসক্ত ছিলেন আরসালান পরিবারের বড় ছেলে রাগিব, দু’বার গিয়েছিলেন নেশামুক্তি কেন্দ্রেও! বন্ধুর কথায় ফাঁস আরও তথ্য


উল্লেখ্য, নারদা কাণ্ডে সিবিআই-এর নজরে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পরিবহন দফতরও রয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পরিবহন দফতরকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। নারদা কাণ্ডে পঞ্চায়েত ও পরিবহন দফতরের কিছু আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েই নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর পাশাপাশি নারদা মামলায় কলকাতা পুরসভার মেয়রকেও চিঠি দিয়েছে সিবিআই।


চিঠিতে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুরসভার ভিআইপি করিডরে  কারা দায়িত্বে ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয় পুরসভার কাছ থেকে। পাশাপাশি, সেইসময় পুরসভার ভিআইপি করিডরের দায়িত্বে ছিলেন, এমন ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অবিলম্বে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পরই পুরসভার তিন জন আধিকারিক সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন।