ওয়েব ডেস্ক : সানি পার্কে ঠিক কী হয়েছিল গত শনিবার সন্ধ্যায়? সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুর্ঘটনার তত্ত্বেই জোর পুলিসের। ফুটেজ দেখিয়ে পুলিসের দাবি, পড়ে গিয়ে জখম হয় আবেশ এবং তাতেই মৃত্যু। কিন্তু CCTV-র অস্পষ্ট ফুটেজে উত্তর মিলছে না বেশ কিছু ধাঁধার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী দেখা যাচ্ছে সেই ফুটেজে?


২৩ জুলাই ২০১৬, সন্ধে ৬টা। এক কিশোর হেঁটে আসছে, তাকেই আবেশ বলে দাবি করছে পুলিস। পুলিস যাকে আবেশ বলছে, সেই কিশোর গ্যারেজ সংলগ্ন র‍্যাম্পের উপর দিয়ে টলতে টলতে আসছে। তারপরই কিছু একটা হল।


পুলিসের দাবি, র‍্যাম্পের পাঁচিল টপকাতে গিয়ে পড়ে যায় আবেশ। গ্যারেজের দিকে CCTV থাকলেও গ্যারাজের বাইরে কোনও CCTV  ছিল না। পুলিসের অনুমান,  আবেশ র‍্যাম্প থেকে নিচে পড়ে যায়। হাতে থাকা মদের বোতলের উপর গিয়ে পড়ে সে। সেখানেই বোতল ভেঙে কাঁচ তার বাঁদিকের বগলে ঢুকে যায়। এরপর সে নিজেই র‍্যাম্পের উপর এসে বসে। তারপর বন্ধুরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও CCTV-তে দেখা যাচ্ছে বন্ধুরা আবেশকে টেনে তুলছে। আর আবেশ তাদের হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে।


এখন প্রশ্ন উঠছে,


১) আবেশের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল বলে দেখা যাচ্ছে CCTV-তে। তাহলে ঘটনার পর থেকে সবাই কেন দুর্ঘটনার কথা লুকালো? কেন তারা বলল তারা কিছু দেখেনি? দুর্ঘটনা হলে এল লুকোছাপার কী রয়েছে?


২) পুলিস বলছে আবেশের হাতে মদের বোতল ছিল। CCTV-তে কিন্তু তা স্পষ্ট হচ্ছে না।


৩) পুলিসের অনুমান আবেশ কাচের বোতলের উপর পড়ে যায়। তার শরীরে কাচ ফুটে যায়। কিন্তু পড়ে যাওয়া আর ফিরে আসার মধ্যে সময়ের ব্যবধান খুবই কম। আবেশ যদি সত্যিই পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়, তাহলে এত কম সময়ে কীভাবে সে উঠে এল?


৪) বলা হয়েছে, আবেশ পড়ে গিয়ে নিজেই উঠে দাঁড়ায়। প্রায় কুড়ি মিটার সে নিজেই হেঁটে ফিরে আসে। কিন্তু কুড়ি মিটার দূরত্ব পারের সেই তত্ত্বও স্পষ্ট হচ্ছে না CCTV-তে।


৫) র‍্যাম্পের যে দিক দিয়ে আবেশ পড়ে গিয়েছিল, সেদিকে কি সত্যিই কোনও সিসিটিভি ছিল না? না কি কেউ ইচ্ছে করে সেই ফুটেজ সরিয়ে দিয়েছে?


৬) তদন্তের জন্য ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিস। কিন্তু, ভিসেরা রিপোর্টে আদৌ খুন বা অ্যাক্সিডেন্টের প্রমাণ মেলে না। সেখানে দেহে বিষক্রিয়া হয়েছে কী না তা জানা যায়। তাহলে কীভাবে প্রমাণ হবে কী হয়েছিল আবেশের?