নিজস্ব প্রতিবেদন : 'একটা অঘোষিত সেনসরশিপ চলছে। বাকস্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত। বিশেক করে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে। সঙ্কটে দেশের শিল্প জগৎ।' এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কড়া তোপ দাগলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। নিশানা করলেন কেন্দ্রকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন তৃণমূল ভবনে ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও ইম্পার কর্তা পিয়া সেনগুপ্ত। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেই চাঁছাছোলা ভাষায় কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারকে আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বলেন, "দেশের শিল্প জগৎ সঙ্কটে এখন সমূহ সঙ্কটে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে অনুরাগ কাশ্যপকে। তাঁর মেয়ের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। ট্রোল করা হচ্ছে। আক্রমণ করা হয়েছে নাসিরুদ্দিন শাহের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতাকেও। হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তিনি কেন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন না!‌ দলিতদের হয়ে লড়াই করার জন্য হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে আয়ুষ্মান খুরানাকেও। কঙ্গনা রানাউতের মতো বিজেপির স্তাবকবৃন্দ ছাড়া আর বাকিরা সবাই কাঁটা হয়ে আছেন। ২০১৪ সালের পর থেকে একটা অঘোষিত সেনসরশিপ (Censorship) চলছে। বাকস্বাধীনতা (Freedom of Speech) নেই।" 


যদিও তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে অবস্থাটা তেমন নয়। এখানে শিল্পীদের হেনস্থা করা হয় না। তাঁরা যোগ্য সম্মান পান। তাঁর কথায়, "বাম আমলে সরকারের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি। তৃণমূলের শাসনকালেও বাম বুদ্ধিজীবীরা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।" তবে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলে সেই বাকস্বাধীনতা (Freedom of Speech) আর থাকবে না বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। পাশাপাশি, টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরকে ফিরে আসার জন্যও এদিন আহ্বান জানান মন্ত্রী। 


আরও পড়ুন, Suvendu-র 'শূন্য চ্যালেঞ্জ', আগামিকাল হুগলির পুরশুড়ায় Mamata-র পাল্টা সভা


একইসঙ্গে কটাক্ষ করেন, "যাঁরা এখন বলছেন, অসুবিধা হয়েছে কাজ করতে, তাই বিজেপিতে বা অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা আসলে কোনওদিনই তৃণমূলের (TMC) ছিলেন না। তাঁরা সুবিধাবাদী ছিলেন। তাই এখন পিছন থেকে ছুরি বসাচ্ছেন।"


আরও পড়ুন, Mamata Banerjee-ই অনুপ্রেরণা, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন Piya, Koushani