Centenary of CTC Bus Service: `ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি` শহরে প্রথম বাস চালিয়েছিল ১০০ বছর আগে...
Centenary of CTC Bus Service: পথের ইতিহাস, ইতিহাসের পথও বলা চলে। দেখতে-দেখতে ১০০ বছর হয়ে গেল সিটিসি বাসের! সিটিসি হল ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি। ট্রামের জন্যই বিখ্যাত এরা। কিন্তু এদের বাস সার্ভিসও ফেলনা নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পথের ইতিহাস, ইতিহাসের পথও বলা চলে। দেখতে-দেখতে ১০০ বছর হয়ে গেল সিটিসি বাসের! ইতিহাস নয়? সিটিসি হল ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি। ট্রামের জন্যই বিখ্যাত এরা। কিন্তু এদের বাস সার্ভিসও ফেলনা নয়। যদিও মনে করা হয়, ট্রাম কোম্পানি বুঝি হালে বাস চালাচ্ছে। সেই ভাবনা ডাহা ভুল। দেখতে গেলে ট্রাম কোম্পানির বাস সার্ভিসের বয়স হয়ে গেল ১০০ বছর!
আরও পড়ুন: ফিরে এসো চাকা? বাংলার শেষ কাঠের বাস, ১০০ বছরের পুরনো বাসরুট...
কলকাতায় ওয়ালফোর্ড কোম্পানি ১৯১২-তে প্রথম মোটরবাস চালায় এ শহরে, যা কিছুদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়। নতুন উদ্যোগে বাস চালু হয় ১৯২২-২৩ নাগাদ। খোদ কলকাতা শহরে ১৯২৪ সালে দশটি রেজিস্টার্ড বাস ছিল। এর মধ্যে দুটি ওয়ালফোর্ড কোম্পানির, বাকি আটটিরই মালিক কলকাতার ট্রামওয়েজ কোম্পানি তথা কলকাতা ট্রাম কোম্পানি। ১৯২৬ সালে ট্রাম কোম্পানির সবসুদ্ধ সতেরোটি বাস ছিল।
সিটিসির সবকটি বাসেরই ছিল লেল্যান্ড-এর ইঞ্জিন। ট্রাম কোম্পানির নথিপত্র থেকে এইসব বাসের মরফোলজির বিবরণ কিছুটা জানা যায়। জানা যায়, এদের যন্ত্রাংশের সব কিছুই আসত ইংল্যান্ড থেকে। কলকাতায় এই সব যন্ত্রাংশ জুড়ে বানানো হত আস্ত বাস। বাসের কাঠের কাঠামো কিন্তু পুরোপুরি লন্ডনের বাসের অনুকরণেই নির্মিত হত।
কলকাতার ট্রামের ১৫০ বছর তো চলছেই। সঙ্গে কলকাতার ট্রাম কোম্পানির বাসেরও যে ১০০ বছর চলছে, সেটা অনেকেই খেয়াল করেননি। মনে করিয়ে দিয়েছেন গণপরিবহণ নিয়ে কৌতূহলী ও নিষ্ঠাবান তথ্যসংগ্রাহক সৌভিক মুখোপাধ্যায়। নিজের সংগ্রহ তুলে ধরে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, ১০০ বছর আগে, ১৯২২-২৩ সালে বাস চালু করেছিল কলকাতা ট্রাম কোম্পানি।
ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এ সংক্রান্ত দুষ্প্রাপ্য কিছু ছবি, সেই বাসরুটের পুরনো টিকিট জোগাড় করেছেন সৌভিক। শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর সংগৃহীত সেই সব নথি প্রদর্শনও করা হয়েছে ১৫ অগস্ট হাওড়ার শিবপুরের নিজস্ব আর্কাইভ 'আড্ডাঘরে'। পরবর্তীকালে 'কলকাতা-বাস-ও-পিডিয়া'র ওয়েবসাইটে এগুলি আপলোড করা থাকবে।
আরও পড়ুন: JU Student Death: 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্র-বিরোধিতার আতুঁড়ঘর', বিস্ফোরক শুভেন্দু
যে কোনও শহরেরই পরিবহণব্যবস্থা সেই শহরের নিবিড় ইতিহাসকে ধারণ করে। সেই শহরের সংস্কৃতি, তার জীবনযাপন, তার জনরুচি, তার লাইফস্টাইল-- সব কিছুই সেখানে ছায়া ফেলে যায়। ফলে পরিবহণের ইতিহাসটা খুবই জরুরি। যদিও যেটাকে সচরাচর অত জরুরি বলে দেখা হয় না। কিন্তু সকলেই সেই মনোভাব পোষণ করেন না। সৌভিকও করেন না। তাঁর এই প্রচেষ্টা থেকেই উঠে আসছে এ শহরের গণপরিবহণের নানা মণিমুক্তো।