এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাজে `বাধা`, এবার রাজ্যকে কড়া চিঠি কেন্দ্রের
এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে বাধা দিতে পারবে না রাজ্য। ২০০৫ ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে এলাকা ঘুরে দেখানোর দায়িত্ব রাজ্যেরই। একাজে রাজ্যকে নির্দেশ মানতেই হবে। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিনিধিদল: এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে বাধা দিতে পারবে না রাজ্য। ২০০৫ ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে এলাকা ঘুরে দেখানোর দায়িত্ব রাজ্যেরই। একাজে রাজ্যকে নির্দেশ মানতেই হবে। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কড়া চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসা মাত্রই সংঘাত চরমে ওঠে। রাজ্যের বক্তব্য, কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় দলকে পাঠানো হল, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে এলাকা পরিদর্শন করানো হবে না। এর ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতায় বিএসএফের অতিথিশালায় এবং শিলিগুড়িতে এসএসবি-র অতিথিশালায় বসেই ছিলেন দিল্লির আন্তর্মন্ত্রক দলের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায়, এখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করানো সম্ভব নয়। এরইমধ্যে কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও। এরপরই বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের কাছে চিঠি আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার।
রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের কড়া চিঠিতে কী বলা হয়েছে?
এই চিঠিতে মূলত অজয় ভাল্লার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ও ২০০৫ সালের ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের ৩৫ নং ধারার কথা উল্লেখ করেন।
তাতে বলা হয়েছে, দেশে কোনও বিপর্যয় এলে, তার মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনও ধরনের পদক্ষেপ করতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের প্রতিটি নির্দেশকে প্রত্যেক রাজ্যকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
তবে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা চিঠিক উত্তরে বলেছেন, "স্বরাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য সঠিক নয়। রাজ্য সব রকমভাবে সহযোগিতা করছে।"
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের ৭ জেলার লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য ২টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। মূলত সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিনিধি দলগুলি। প্রতি দলে ৫ জন করে আধিকারিক রয়েছেন। প্রথম কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর ঘুরে দেখবে। দ্বিতীয় দলটি দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলা পরিদর্শন করবে। কিন্তু রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছতেই গোল বাঁধে।