নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'-এর তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আগামী শুক্রবারই রাজ্যে আসছে প্রতিনিধি দলটি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। নবান্ন সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল আকাশপথে বুলবুল বিধ্বস্ত বকখালি ও নামখানা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন পরিচালনায় একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সেই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। আজ নবান্নে বৈঠকে বসে সেই টাস্ক ফোর্স। সেই বৈঠকে জেলাস্তরে ৩টি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। জেলাশাসকের নেতৃত্ব সেই টাস্ক ফোর্স গঠিত হবে।



১৪টি দফতরের অফিসাররা আগামিকাল বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। তারপর কালকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, ত্রাণ শিবিরগুলিতে এখন আর কেউ নেই। কাল টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার পর কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাবেন মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, গতকাল কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আসার আগেই ১ লক্ষ ৪৮ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকা ধান, পানের বোরজ নষ্ট হয়েছে।


আরও পড়ুন, হায়দরাবাদে মুখোমুখি সংঘর্ষ ২ ট্রেনের! দেখুন দুর্ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ


গতকাল বুলবুলের প্রভাবে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বুলবুল-এর তাণ্ডবের পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুর্যোগে সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মোদী-শাহ।