BJP Meeting in ICCR : তৃণমূলের এজেন্ট এই লোকটা এখানে কেন; ধস্তাধস্তি, প্রবল চিত্কার বিজেপির বৈঠকের বাইরে
ওই ঘটনা নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটুকুই বলতে পারি সব্যসাচী রায় চৌধুরীকে অভিজিত্ নাহা কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমরা সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন
মৌমিতা চক্রবর্তী: বিজেপির বৈঠকের সময় বাইরে বেনজির অশান্তি। আইসিসিআর-এ বিজেপির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রকাশ জাভরেকর। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যখন বৈঠক চলছে সেইসময় বাইরে এক ব্যক্তিকে ঘিরে তুলকালাম। ওই ব্যক্তির নাম সব্যসাচী রায়চৌধুরী। শমীক ভট্টাচার্যের আমন্ত্রণেই তিনি বৈঠকে এসেছেন বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু বিজেপি এক যুব নেতা ও কর্মীদের দাবি নিজেকে সিবিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা তুলে বেড়ান সব্যসাচী। শুধু তাই নয় সিবিআই পরিচয় দিয়ে বৈঠক বানচাল করতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ব্যক্তি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন-মায়ের গণধর্ষণের প্রধান সাক্ষী সে-ই, ট্রমা কাটছে না ৫ বছরের মেয়ের!
বিজেপির যুব মোর্চার দক্ষিণ কলকাতার ইনচার্জ অভিজিত্ নাহা আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহ থেকে হলুদ টি শার্ট পরা সব্যসাচীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনেন। বাইরে এসে তিনি চিত্কার করে বলতে থাকেন, তৃণমূলের এজেন্ট হয়ে এই লোকটা এখানে কী করছে? এই লোকটার কাজ ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বেকারদের কাছ থেকে টাকা তোলা। নিজেকে আইপিএস, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েও টাকা তোলেন ওই ব্যক্তি। উনি তৃণমূলের দালাল। কয়েকজন হলুদ টি শার্ট পরা সব্যসাচীর কলার ধরেও ফেলেন। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। অভিজিত্ দাবি করেন, উনি আমার টাকাও মেরে দিয়েছেন।
এদিকে, অভিযুক্ত সব্যসাচী রায়চৌধুরীর দাবি, তিনি পেশায় আইনজীবী। এসেছেন শমীক ভট্টাচার্যের আমন্ত্রণে। শুধুমাত্র একটি ওকালতনামায় শমীকবাবুর সাক্ষর করানোর জন্য়ই তাঁর সেখানে আসা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপির নেতারা গোলামাল থামানোর চেষ্টা করলেও তা থামেনি। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ওই ঘটনা নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটুকুই বলতে পারি সব্যসাচী রায় চৌধুরীকে অভিজিত্ নাহা কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমরা সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। উনি আমার পরিচিত। সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পরিবারের সদস্য তিনি। তিনি আজ একটি ওকালতনামায় সাক্ষর করানোর জন্য এসেছিলেন।