ওয়েব ডেস্ক: সিন্ডিকেট নিয়ে এবার হাইকোর্টেও প্রধান বিচারপতির তুলোধোনার মুখে পড়ল রাজ্য। সরকারি আইনজীবীকে শুনতে হল, সিন্ডিকেট নিয়ে শুধু দু- তিনটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা কেন? যা সামনে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সল্টলেকে তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চ্যাটার্জির গ্রেফতারির পর থেকে, যেন প্যান্ডোরা বক্স খুলে গিয়েছে। একের পর এক অভিযোগ। হুমকির ছায়া থেকে বেরিয়ে এবার সরব তাঁরাও, যাঁরা এতদিন গলা তোলার, প্রতিবাদের সাহস পাননি। এই অবস্থায় হাইকোর্টেও তোপের মুখে রাজ্য।


সল্টলেকের পর তোলা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক তৃণমূলকর্মী
এর আগেও হাইকোর্ট বহুবার সিন্ডিকেটের দাদাগিরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কড়া মন্তব্যও করেছেন বিচারপতিরা। এবার প্রধান বিচারপতি সিন্ডিকেট-ইস্যুতে কার্যত তুলোধোনা করলেন রাজ্যকে।  


সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী বিপ্লব চৌধুরী। তাতে সিন্ডিকেট-রাজ, বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট, একের পর এক অপরিকল্পিত নির্মাণের অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা।



সেখানেই সরকারি আইনজীবীকে প্রধান বিচাররপতির প্রশ্ন ছিল,
১) 'সিন্ডিকেটের দাদাগিরি রুখতে রাজ্যের নেওয়া পদক্ষেপ ভাল হলেও, বৃহত্তর ক্ষেত্রে এটি কোথায় কার্যকর হয়েছে?
২) শুধু দু- তিনটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়েছে?


যদি দশ টাকারও কোনও জিনিস কিনতে হয়, কেউ তা কোথা থেকে কিনবে তা তাঁর নিজের স্বাধীনতা। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'শুধু কলকাতাই না, রাজারহাট, আসানসোলে কোর্ট ভবন তৈরির কাজেও সিন্ডিকেটের তাণ্ডব চলছে। ভুগছে সরকারি প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের খরচ বাড়ছে হু হু করে। যা সামনে এসেছে তা শুধুমাত্র হিমশৈলের চূড়ামাত্র।


এখানেই না থেমে, এরপর তাঁর নিজের অভিজ্ঞতাও কোর্টরুমে তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। গলায় বিরক্তি। তিনি বলেন, 'তাঁর সহকর্মীদেরও এজন্য ভুগতে হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট-দাদাগিরি যে চলছে তা কারোর কাছে শুনে নয়, এটা চলছে তা তিনি নিজে জানেন বলেই বলছেন।



সিন্ডিকেট দাপট রুখতে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানিয়ে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।