নিজস্ব প্রতিবেদন : দেবীপক্ষের দ্বিতীয়া! আর মাত্র চারদিন। রবিবারের পর সোমবারও উত্সবের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পুজোর উদ্বোধন করলেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই আজ সূচনা হল একডালিয়া এভারগ্রিন, বালিগঞ্জ কালচারাল, শিবমন্দির, মুদিয়ালি, ত্রিধারা সম্মিলনী-সহ এগারোটি পুজোর।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING



ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র ক-দিন বাকি। প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সোমবারও শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের উদ্বোধন পর্বের শুরু একডালিয়া এভারগ্রিন দিয়ে। প্রতিবারের মতো সাবেকিয়ানা বজায় রাখল একডালিয়া এভারগ্রিন। আজ পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন পুজোর মূল উদ্যোক্তা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সী। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, গ্রাম বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণাপনে তৈরি হয়েছে ভবন-সৃষ্টিশ্রী।২৫টি স্টলে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন হাতের কাজের জিনিসপত্র। একদিকে উত্সবের রোশনাই, আর অন্যদিকে খারাপ আবহাওয়ার ভ্রুকূটি। পুজোর আনন্দ বৃষ্টিতে যাতে পণ্ড না হয়, এদিন সেই কামনাই করলেন মমতা।



এদিন তিনি আরও বলেন, সুব্রত দা পুজো নিয়ে খুব ঝগড়া করে। সবসময় বলে অন্য জায়গায় লোক হচ্ছে না সব লোক একডালিয়াতেই হচ্ছে। রাতে বসে এখানে আড্ডা দেয় আর এই সব বলে। পুজো উদ্বোধনে এসে মন্ত্রীদের মধ্যে যে পুজো নিয়ে খুব লড়াই তার ইঙ্গিত প্রতিবার দিয়ে যান। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো সাবেকি পুজো, থিম নেই আর অন্যদের থিমের লড়াই। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও যে লড়াইয়ে এগিয়ে তা স্পষ্ট করলেন তিনি।



একডালিয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য বালিগঞ্জ কালচারাল। বালিগঞ্জ থেকে মমতা পৌঁছে যান শিবমন্দিরের পুজোয়। বন্ধনি-থিমের জমকালো পুজোর সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। আজকের সমাজে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যাচ্ছে, সেই জায়গা থেকে সম্পর্কে জোর দেওয়ার দরকার। সেটাই এবার ফুটে উঠেছে শিবমন্দিরের পুজোয়।



এরপর মুখ্যমন্ত্রী যান মুদিয়ালির পুজো উদ্বোধনে। মুদিয়ালি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী গন্তব্য ছিল ত্রিধারা সম্মিলনী।


আরও পড়ুন - মলয় দে-র কাছ থেকে মুখ্যসচিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রাজীব সিনহা